কলকাতা: আর্সেনিক সহনশীল, উচ্চ ফলনশীল, সরু, সুগন্ধী ধান ‘মুক্তশ্রী’৷ এই ধান খরা, অতি বৃষ্টি সহ্য করতে পারে। ২০১২ সালে উদ্ভাবন ঘটানো হয় আইইটি ২১৮৪৫ – ধানের সেই বিশেষ প্রজাতির৷ এই প্রজাতির ধান আর্সেনিক সহনশীল৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কৃষি বিজ্ঞানীরা এই ধানের স্বীকৃতি দিয়েছে৷ ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধানটির নাম দেন ‘মুক্তশ্রী’।
এই ধান বোরো ও খরিফ দুই মরশুমেই চাষ করা যায়। কারণ, এই ধানের খরা ও অতি বৃষ্টি সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে৷ এই ধান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সহজে নুইয়ে পড়ে না৷ বোরোতে চাষ করলে মুক্তশ্রীর উৎপাদন হবে হেক্টরে সাড়ে পাঁচ টন৷ আর খরিফে চাষ করলে হেক্টরে উৎপাদন পাওয়া যাবে পাঁচ টন৷ এই ধানের চাল সরু ও সুগন্ধী৷ লম্বাটে ধান গাছ বলে চাল সরু হয়৷ চাষিরা এই ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন৷
চুঁচুড়া ধান গবেষণা কেন্দ্র মুক্তশ্রী ধানের প্রজনন বীজ দিতে শুরু করেছে৷ ২০০ কেজি বা তার বেশি বীজ দেবে৷ সেই মতে সরকারি খামার বা সরকার অনুমোদিত খামারে চলতি বোরো মরশুমে আধারীয় বীজ তৈরির কাজ চলছে৷ এই বীজ দিয়ে আগামী বছর খরিফে তৈরি করা হবে শংসিত বীজ৷ ওই শংসিত বীজ চাষিরা আগামী বছর বোরোর মরশুমে পাবেন৷ পুষ্ট ও জীবনীশক্তিতে ভরপুর হবে এই শংসিত বীজ৷ ফলে চাষিরা এই ধান চাষ করে ভালো লাভ পাবেন৷