কলকাতা: আসন্ন পুর নির্বাচনে কলকাতায় শাসক শিবির কে মাত দিতে বিজেপির তুরুপের তাস ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। জার্সি বদলে যিনি এখন পদ্ম শিবিরে।কিন্তু পুর ভোটের মুখে শোভনের ভূমিকায় হতাশ দল। এমত অবস্থায় তাঁকে সামনে রেখে কলকাতায় পুর নির্বাচন লড়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। শোভনের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশ তাঁরা। তা স্বত্তেও হাল না ছেড়ে তলায় তলায় বিকল্পের সন্ধান শুরু হয়েছে।
দিদির একসময়ের স্নেহের কানন নাম লিখিয়েছেন পদ্ম শিবিরে।তাঁকে দলে শামিল করার সময়েই বিজেপির কলকাতা পুরভোটে তাঁকে ব্যবহারের অঙ্ক কষে। কিন্তু দলে কখনোই তেমন সক্রিয় হননি প্রাক্তন মেয়র।প্রথম থেকেই প্রায় অন্তরালেই থেকে গিয়েছেন। এমনকি কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভা, প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের মত মেগা কর্মসূচিতেও আশেপাশে দেখা যায়নি তাঁকে। সামনেই কলকাতা পুর নির্বাচন।এমত অবস্থায় শোভনের নিষ্ক্রিয়তা পদ্ম শিবিরের অনেক অঙ্ক বাঞ্চাল করে দিয়েছে। পাশাপাশি তৈরি করেছে অনেক জল্পনা।যে শোভনের কাঁধে ভর করে ভোট বৈতরণীতে পার করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর হালচাল দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে নেতৃত্বের।
একবছরের বিরতির পর গত ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছিলেন শোভন।ফলে ফের তিনি দিদির স্নেহধন্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় । শোভন বিজেপিতে নাম লেখালেও সক্রিয় ভাবে তিনি কেন কোনও কর্মসূচিতে নেই তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শোভনকে সাফ জানিয়েছে, একনই সক্রিয় না হলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে উঠে পড়ে লাগা হবে। বিজেপির বিশ্বাস ছিল, শোভনের মাধ্যমেই পুরভোটের বৈতরণী পার হওয়া যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি তীরে এসে তরী ডোবার মত। তাই এই কড়া সতর্ক বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
গেরুয়া শিবিরে আদৌ মন আছে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে শুরু হয়েছিল ফের তৃণমূলে যোগের জল্পনা। শোভন কি আড়ালে থেকেই বিজেপির মেঘনাদ হবেন নাকি সামনে এসে সক্রিয় হবেন? অথবা রাজনীতি থেকে আবার সরে আসতে চান? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সবচেয়ে বড় রহস্য এখন তিনি নিজেই। যদিও নামে তিনি রয়েছেন বিজেপি শিবিরে। দলত্যাগের কথাও বলেননি। তবু, কলকাতা পুরভোটের আগে সবচেয়ে বড় জল্পনা এখন প্রাক্তন মেয়রকে নিয়েই।