কলকাতা: বিপ্লবী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর ব্যাতিক্রমী কিছু করেননি। নাটকের স্ক্রিপ্ট পড়ার মত রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করেছেন। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণই পাঠ করেন রাজ্যপাল। তা-ই আছে সংবিধানে। কিন্তু, সেই ভাষণের বাইরে রাজ্যপাল একটি শব্দ উচ্চারণ করতে পারবে না, এমন নয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল যদি রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণের মধ্যে নিজের টিপ্পনি যোগ করতেন, তা অসাংবিধানিক হত না। কিন্তু, তাতে বহুদিনের প্রথা ভেঙে যেত। এক্ষেত্রে ধনখর তা করেননি।
যদিও রাজ্যপাল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের তৈরি করা ভাষণে নিজের বক্তব্য রাখবেন। তাতেই রে রে করে ওঠে রাজ্য সরকার। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাড়তি বক্তব্য রেকর্ড করা হবে না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধনখর সেই রাস্তায় হাঁটেননি।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এতে খুব খুশি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধনখরের বিদায় বেলায় বিধানসভার দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। যা দেখে অনেকেই বলাবলি করছেন, কিছুদিন আগেই রাজ্যপালকে কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়েরর সমাবর্তনে দরজা দেখিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট রাজ্যপালের এই পারফরম্যান্স দেখে হতাশ। সম্ভবত বিধানসভায় তারা কিছু নাটক আশা করেছিলেন। সেই কারণেই, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন আঁতাতের কথা তুলছেন। ধনখর কিন্তু, আজ ম্যান অফ ডা ম্যাচ হয়ে গিয়েছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, যা করেছি সংবিধান মেনেই করেছি। যার দুরকম অর্থ হয়, অর্থাৎ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যা করে তা সাংবিধান মেনে করে না।