কলকাতা: রাজ্য সরকারের জমি রেজিস্ট্রেশন অফিসগুলিতে কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও স্থায়ীকরণ সহ একাধিক দাবিতে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গ জমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মীদের সংগঠন। শুক্রবার একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয় এই সংগঠনের পক্ষ থেকে। এরপর ভূমি রাজস্ব দপ্তরের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশন(আইজিআর)-এর কাছে একটি গনডেপুটেশন দেওয়া হয়।
কর্মীদের দাবিগুলি হল, সমস্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দের স্থায়ীকরন করতে হবে। সামকাজে সমবেতন। শ্রমিকদের সম্মান ও অধিকার প্রদান। ই এস আই , পি এফ এর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা। ১৫ দিন সি এল , ৩০ টি ই এল, ৩০ টি মেডিক্যাল বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ট্রান্সফার অর্ডার দেওয়া যাবে না৷ সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে করা হয়েছে৷ প্রেসিডেন্সি জোনে অফিসে পিছু একজন করে উপস্থিত থাকতে হবে এবং অফিস চালু রাখতে হবে। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুসারে অর্থ দপ্তরে অধীনস্থ রেজিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে সরকারি অন্যান্য পদে খালি পদে এই কর্মীদের নিয়োগের বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে।
ডেপুটেশন জমা করার পর সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়, যে তাদের দাবিগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন আইজিআর। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে কোন কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হবেনা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে নতুন চুক্তি অনুসারে বেতন কাঠামো বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি বর্তমানে যেসমস্ত কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীরা আনস্কিল লেবার হিসাবে বেতন পান, আগামীদিনে তাদের স্কিল লেবার হিসাবে বেতন পাবেন। ফঃলত প্রতি শ্রমিকের বেতন ৭১৭৬ টাকা থেকে বেড়ে ৮৮৪০ হবে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। সংগঠনের দাবি মেনে এই কর্মীদের জোন-এর কর্মী হিসাবে ১০১০৪ টাকা বেতন দেওয়ার বিষয়টি মার্চ মাস থেকে কর্যকর হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া পি এফ, ই এস আই এর সমস্যা গুলিরও সমাধান করা হবে। কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীদের এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণডেপুটেশনের সভাপতিত্বে ছিলেন গোপাল নন্দী, ছিলেন যুবনেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ৷