কেন আমার বাজেট ভাষণ টিভিতে দেখানো হল না? ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

‘রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হল। কিন্তু ১৭৬ ধারায় রাজ্যপালের ভাষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্প্রচার হল না,সংবাদ মাধ্যমকেও দূরে রাখা হল।রাজ্যের মানুষের উপরেই বিচারের ভার দিলাম’। অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের পর অসহিষ্ণু রাজ্যপাল।

কলকাতা: কদিন আগেই রাজ্য সরকারের তৈরি বাজেট ভাষণের প্রতিটি অক্ষর পাঠ করে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করেন রাজ্যপাল জগদীশ ধনকর। বুঝিয়ে দেন রাজ্য সরকারের ওপর যতই ক্ষোভ থাকুক সংবিধানকে সম্মান জানানো সেসবের উর্ধ্বে। যদিও পদে আসার পর থেকেই তাঁর একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে সংবিধান অমান্য করার অভিযোগে উঠেছে। এমনকি বাজেট ভাষণের আগেই তাঁর এমনই এক দাবি নিয়ে রাজ্যসরকারের সঙ্গে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। চিরাচরিত প্রথায়  পরিবর্তন এনে বাজেট অধিবেশনের সূচনায় রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে সরকারি নীতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজের মতামত এবং পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার আবেদন জানিয়েছিলন ধনকর। যদিও শেষপর্যন্ত সংঘাত এড়িয়ে সৌহার্দ্য বজায় রেখেছেন।

কিন্তু সোমবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট অধিবেশনের লাইভ সম্প্রচারের পর ফের স্বমূর্তি ধারণ করেছেন তিনি। সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে টুইটে জানিয়েছেন ‘রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হল। কিন্তু ১৭৬ ধারায় রাজ্যপালের ভাষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্প্রচার হল না,সংবাদ মাধ্যমকেও দূরে রাখা হল।রাজ্যের মানুষের উপরেই বিচারের ভার দিলাম’। অপর একটি টুইটে লেখেন, ‘‘এটি মিডিয়ার গুরুতর পরিণতি৷ এটা কি চিন্তাধারার গ্রহণযোগ্য প্রকাশ? এটা কি সাংবিধানিক প্রধানের অসহিষ্ণুতার নয়? এটি কি এক ধরণের সেন্সরশিপ নয়? আমি নিশ্চিত যে মিডিয়া এবং জনসাধারণ কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না।’’

রাজ্যপালের টুইট প্রসঙ্গে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা তাঁর বিষয় নয়৷ বাজেট অধিবেশন সম্প্রচারিত হবে কি না, সেটা অধ্যক্ষের বিষয়৷ প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের মূলত দুটি ক্ষমতা। প্রথমত, আইনগত এবং প্রশাসনিক যে কোনও বিষয়ে সরকার তাঁকে জানাতে বাধ্য। দ্বিতীয়ত, তিনি যদি কোনও বিষয়ে রিপোর্ট চান, তা-ও সরকারকে দিতে হবে। এছাড়া, তিনি চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু কখনও নির্দেশ দিতে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *