কেন এত দেরি? প্রশ্ন শুনে বিধায়ককে ‘মার’ মন্ত্রীর! হাতাহাতি বিধানসভায়

কেন এত দেরি? প্রশ্ন শুনে বিধায়ককে ‘মার’ মন্ত্রীর! হাতাহাতি বিধানসভায়

কলকাতা: বাজেট আলোচনায় গরহাজির রাজ্যের মন্ত্রীরা! মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে জেলা সফরে৷ আর তার জেরে পণ্ড রাজ্য বিধানসভার বাজেট আলোচনা৷ অধিবেশ ফেলে কোথায় রাজ্যের মন্ত্রীরা? বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর প্রশ্ন তুললেই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজ্য বিধানসভার৷ পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী  তাপস রায়ের সঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর হাতাহাতি, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে পণ্ড বিধানসভার অধিবেশন৷ বিধায়কের দিকে মন্ত্রীর তেড়ে যাওয়া ঘটনায় তাপস রায়ের ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তুলে অধিবেশন কয়কট বাম-কংগ্রেসের৷

বিধানসভা সূত্রে খবর, আজ বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু, গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনের গরহাজির রাজ্যের তিন মন্ত্রী৷ মন্ত্রীরা না থাকলে কীভাবে আলোচনা হবে? অধিবেশ ফেলে কোথায় গিয়েছেন মন্ত্রীরা? কেন তাঁদের ডেরে এনে অধিবেশনের কাজ শুরু করা হচ্ছে না? চিৎকার করে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী৷

ঠিক ওই মুহূর্তে ফোনে কথা বলতে বলতে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়৷ মন্ত্রীকে ফোনে কথা বলতে বলে অধিবেশন কক্ষে ঢোকাকে কটাক্ষ করেন মনোজ৷ বলেন, ‘‘পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী হয়ে কেন এত দেরি?” প্রশ্ন শুনে চরম ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী৷ অভিযোগ, কংগ্রেস বিধায়কের দিকে তেড়ে যান৷ কার্যত হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি বিধানসভায় অন্দরে৷ তাপস-মনোজ গণ্ডগোল সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অন্য বিধায়করা৷ অনভিপ্রেত ঘটনা বলেও জানান অধ্যক্ষ৷ মন্ত্রীর এই আচারণ ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান বাম-কংগ্রেস উভয় শিবির৷ কিন্তু, তাতে মন্ত্রী রাজি না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ মুখ্যমন্ত্রী না থাকার কারণে অধিবেশনে শাসকদলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের গা ছাড়া ভাব ও মন্ত্রীর আচারণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন কয়কট করে বাম-কংগ্রেস৷ আর তার জেরে লাটে ওঠে অধিবেশনের কাজ৷

এদিনের এই ঘটনার পর বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মনোজবাবু পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী৷ তাঁকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বাজেট অধিবেশন শুরু হয়ে গেলেও কেন দেরি হল তাঁর? তাতেই মনোজবাবু দিকে তেড়ে গিয়ে প্রতিমন্ত্রি মারধর করেন৷ আমারা অধ্যক্ষকে বলেছি, মন্ত্রীকে দুঃখ প্রকাশ করতে৷ অধ্যক্ষ অনভিপ্রেত বললেও ক্ষমা চাইতে রাজি হননি মন্ত্রী৷ কিন্তু, প্রশ্ন হল, মন্ত্রীদের এমন কী রাজকার্য রয়েছে, যাতে বাজেট আলোচনার মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে গা ছাড়া ভাব মন্ত্রীদের? আর প্রশ্ন করলেই মার জুটবে? এটা বিধানসভার লজ্জা!’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + thirteen =