সোলেমনির শেষ যাত্রীয় জনজোয়ার, পদপৃষ্ট হয়ে মৃত ৩৫

সোলেমনির শেষ যাত্রীয় জনজোয়ার, পদপৃষ্ট হয়ে মৃত ৩৫

7234675ef943222b7f013713bf5db594

তেহেরান:ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলেমনির শেষকৃত্যে ব্যাপক জনসমাগম হয়৷ এই সময় প্রবল ভিড়ে পদস্পৃষ্ট হয়ে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ৪৮ জন আহত হয়েছে৷ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কেরমান শহরে পদস্পৃষ্টের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে৷ স্থানীয় টেলিভিশ চ্যানেলে বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় প্রাণহীন নিহর দেহ এদিক ওদিক পরে রয়েছে৷ তাঁদের সঙ্গে অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পরে রয়েছেন৷ তাঁরা সাহায্যের জন্য প্রার্থণা করছেন৷

ইরানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পদপৃষ্টের ঘটনা প্রকাশ করলেও, কোথায় হয়েছে তা জানায়নি৷ পরে ইরানের জরুরি বিভাগের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, কেমরান শহরে এই পদপৃষ্টের মতো ঘটনা ঘটেছে৷ ইরানের জরুরি বিভাগের প্রধান ফিরহোসেইন কোলিভান্দ জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা৷ সোলেমনির শেষকৃত্য়ে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে৷ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷ সোলেমনির শেষকৃত্যে শুধু তেহরান শহর থেকে ১০ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে৷ মিছিলে ইরানের বেশ কয়েকজনকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে৷

সোমবার সোলেমনির শেষকৃত্যে বিপুল মানুষের সমাগম হয় ৷উঠতে থাকে আমেরিকা নিপাত যাকের মতো স্লোগান ৷সেখানেই বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন ঘানি৷ তিনি বলেন, আমরা শহিদ সোলেমনির দেখানো পথেই এগিয়ে যেতে সংকল্পবদ্ধ৷ আমেরিকাকে কয়েক ধাপে এই অঞ্চল থেকে তাড়াব ৷ এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের শহিদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেব৷ শুক্রবার ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় নিহত হন৷  এর থেকে আন্তর্জাতিক মহল দ্বিধাভক্ত হয়ে গিয়েছে৷  প্রথমদিন থেকে তেহরানের গলা্য় প্রতিশোধের সুর শোনা গিয়েছে৷  অন্য দিকে, ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন উভয়দেশকে সংযমের বার্তা দেন৷ কিন্তু সেই সংযম কতটা সম্ভব তা সময় বলে দেবে৷ একদিকে প্রতিশোধের সুর যখন শোনা যাচ্ছে ইরানের গলায়,সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারিরর সুরে জানান, ইরানের ৫১টি লক্ষ্যবস্তু স্থির করা রয়েছে৷ প্রতিশোধ নিতে চাইলেই আমেরিকা সেখানে হামলা করবে৷

সোলেমনির মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ সেনাদের ওপর হামলা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ৷অন্য দিকে,ইরাক এই হামলার পরোক্ষে বিরোধিতা করেছে ৷সম্প্রতি ইরাকের সংসদে বিল পেশ হয়েছে৷ যেখানে জানানো হয়েছে, সে দেশে আর কোনও মার্কিন সেনা থাকতে পারবে না৷ সোলেমনির শেষকৃত্যে এক ব্যক্তি ট্রাম্পের মাথার দাম ছয় কোটি ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার ঘোষণা করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *