বারাসাত: প্রতিবাদের ভাষায় যখন সৃজনশীল রুচির ছাপ লাগে তখন তা হয়ে ওঠে ব্যতিক্রমী, অনন্য। তেমনি এক ব্যতিক্রমী ও অনন্য প্রতিবাদের পদ্ধতি দেখাগেল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। ভালবাসার দিনে ভালবাসার আপনজনকে ভালবাসার ফুল দিয়ে ব্যাতিক্রমী প্রতিবাদ করলেন এক ফুল ব্যবসায়ী তথা কবি রমজানের আলি মণ্ডল। ভালবাসার লাল, হলুদ, গোলাপি গোলাপের বুকের উপর লিখেদিলেন নো এনআরসি, নো সিএএ ও নো এনপিয়ার। আর সেই গোলাপ বিলি হতেই রীতি মত সাড়া ফেলেদিল ঐতিহ্যবাহী বসিরহাট শহরে।
রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও তোলপাড় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন- সহ এনআরসি, এনপিআর নিয়ে। এর বিরোধিতায় প্রথমদিকে যে আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে অনেক ধ্বংসাত্মক বিষয় প্রকাশ্যে এসেছিল। পরবর্তীতে ঘরানার বদল ঘটে। তার ছবি মেলে জামিয়া মিলিয়া থেকে শাহিনবাগ ছাত্র আন্দোলনের ও প্রতিবারের মধ্যে দিয়ে। এই আন্দোলনের ভিন্ন ও ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাওয়া গেছে বিয়ের মঞ্চ থেকে, জন্মদিনের কেক কাটার মধ্যে দিয়ে, আবার কখনো মিষ্টিতে। এবারে ভালোবাসার বিশেষ দিনটিও বাদ গেলোনা প্রতিবাদের ভাষা থেকে। এক অভিনব প্রতিবাদ দেখাগেল গোলাপ ফুলের মধ্য দিয়ে। কেউ তার কাছের মানুষকে এই বিশেষ লেখা সমৃদ্ধ গোলাপ দিয়ে প্রতিবাদের আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিতে চাইল। আবার কেউ পরিবারের সদস্যদের হাতে এই বিশেষ ধরনের গোলাপ ফুল তুলে দিল।
একদিকে যেমন গোলাপ নাগরিকত্ব সংশোধনী ও বিরোধিতায় গোলাপ ফুলের উপর অর্ডার পেয়েছে। অন্যদিকে সকাল থেকে নিজের মনের মানুষকে গোলাপ ফুলের মধ্য দিয়ে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। স্বভাবতই গোলাপ কেনার জন্য ভিড় জমছে ফুলের দোকানে। এই অভিনব প্রতিবাদের ভাষা যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে তা বলাই বাহুল্য। সারাবিশ্বে আজকে ভালোবাসার দিন হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয়। তার মধ্য দিয়ে সকাল থেকে গোলাপ ফুলের মধ্য দিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।