কলকাতা: ইঙ্গিতটা আগেই ছিল৷ আর সেই ইঙ্গিত মিলিয়ে শহর কলকাতায় অমিত সফর শুরু হতেই বিক্ষোভ বাম-কংগ্রেস কর্মীদের৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মীদের৷ পথে নেমে বিক্ষোভ ছাত্র যুব সংগঠনের৷ বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বেকবাগান, পার্ক সার্কাস, ধর্মতালা, এন্টালি, কৈখালি, সন্তোষপুর, কাজারহাট-সহ গোটা শহরজুড়ে বিক্ষোভ৷ ‘মোদি-দিদি’ আঁতাতের তত্ব সামনে রেখে দিনভর বিক্ষোভ বাম-কংগ্রেস কর্মীদের৷ বাম ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অশান্তি রুখতে বেশ তৎপর পুলিশও৷
আজ সকালে কলকাতায় পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তাঁকে স্বাগত জানান বাবুল সুপ্রিয়৷ অমিত শাহের কলকাতা সফর শুরু হতেই বিমানবন্দরের ১নং গেটের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম-কংগ্রেস কর্মীরা৷ অমিতকে দেখানো হয় কালো পতাকা৷ ওঠে গো ব্যাক স্লোগান৷ তবে, অপ্রীতিকর ব্যবস্থা এড়াতে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাম-কংগ্রেসের মিছিল আটকায়৷
অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলীয় অন্তরাজ্য পরিষদ বা ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা যে ভালো, সে বিষয়ে আলোচনা হয়৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই রাজ্যের আইন শৃংখলার পরিস্থিতি প্রশংসা পেয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, বিজেপির 'আর নয় অন্যায়' প্রচারের কোনও গুরুত্ব থাকে না। কারণ, শাহ যার বিরুদ্ধে এই প্রচার শুরু করতে চলেছেন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকেই প্রশংসা পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে, এই প্রচার জন্মলগ্নেই গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ৬ মাস এই প্রচার চলবে। কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে 'ক্ষোভ পত্রে' সই সংগ্রহ করবেন। এছাড়া , হোয়াটস এপ, এসএমএস, সোশ্যাল মিডিয়া, মিসড কল করেও মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে পারবেন বঙ্গবাসীরা। প্রশ্ন একটাই, এত সব কিছু করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের বিশ্বাস যোগ্যতা প্রমান করতে পারবে কী রাজ্য বিজেপি। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অমিত শাহ'র মুখোমুখি হয়েছেন মমতা। কংগ্রেস-সিপিএম সেটিংয়ের ছক দেখছেন।