ইংরেজবাজার: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অনেকেই তোলেন। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই কথা জানেন। আজ মালদহের সভায় নাম ধরে ধরে তাঁকে বলতে শোনা গেল 'এত ঝগড়া করেন কেন?'। কাউকে আবার বলছেন, 'আপনার কিছু কিছু কার্যকলাপ মানুষ পছন্দ করছেন না। নিজেকে সংশোধন করুন।' মঞ্চ থেকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন তিনি। দলীয় নেতাদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বভার। মালদা জেলার 'পুনরুত্থান' তাহলেই সম্ভব বলে এদিন উল্লেখ করেছেন মমতা।
আজ মালদার ছোট সুজাপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বুথভিত্তিক কর্মীসভার প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীদের নিয়েই সভা করবেন, এই উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হয়েছিল সভা। তাই দলনেত্রীর মুখে শোনা যায়, 'আমি ইচ্ছে করলে ১০ জন নেতার সঙ্গে বসে মিটিং করতে পারতাম। কিন্তু আমি করব না। যতদিন পর্যন্ত মালদার পুনরুত্থান না হচ্ছে আমি করব না।' এছাড়া দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
উপস্থিত দলনেতাদের উদ্দেশে বলেন, 'অমুক নেতা কথা শুনছেন না, তমুক নেতা কথা শুনছেন না। এটা হতে পারে না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাতেই স্পষ্ট যে তিনি দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর তিনি পেয়েছেন, মত রাজনৈতিক মহলের। তাই 'এখানে একজনের দ্বারা হবে না। এখানে যেটা করতে হবে, সেটা হল সবাই মিলে দায়িত্ব ভাগ করে তবেই কাজ করতে হবে। তা না হলে কিন্তু এখানে কিছুই হবে না। এটা মাথায় রেখো', বলতে শোনা গেছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে।
মালদার তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এও বলেন, 'সব মিউনিসিপ্যালিটির নেতা হয়ে যাচ্ছে। জেলার নেতা হতে পারছে না। একটু জেলায় যাও।' কখনও আবার বলেন, 'মাত্র ১২টা সিট। মানে এক ডজন। এদিকে নেতা আছে ১০ ডজন।' তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ১২টায় ১২ আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশে সরাসরি চ্যালেঞ্জ নেওয়ার আহ্বান জানান। মালদা জেলার পুনরুদ্ধার করতে হলে একসঙ্গে লড়ার কথা বললেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কথা তোলেন তৃণমূল প্রধান। এই রাজ্যে তিনি এগুলো চালু হতে দেবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, 'আমাকে যদি জিজ্ঞেস করে, তোমার বাবার জন্মদিন বলো, জন্মের সার্টিফিকেট দাও, তোমার মায়ের জন্মের সার্টিফিকেট দাও। আমি দিতে পারব?'