কলকাতা: গত ডিসেম্বরে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর কলাভবনে অনুষ্ঠিত নন্দনমেলাতেও উঠেছিল বিতর্ক। রোদ্দুর রায়ের বিকৃত গান 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' বিতর্ক। এবার যেন অশ্লীলতায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল, এমনই মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ। দোল উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি ছবিতে দেখা গেছে, শাড়ি পরা একাধিক তরুণীর পিঠে আবির দিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের গানের বিকৃত রূপ। সঙ্গে অশ্লীল শব্দ। অন্য ছবিতে দেখা গেছে, কয়েকজন ছেলের বুকেও লেখা ছিল অশ্লীল শব্দ। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীসহ বহু মানুষ।
পড়ুয়ারা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহিরাগতরা, এমনই জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, এই ঘটনা তাঁর ক্যাম্পাসে ঘটেছে। কিন্তু কারা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার বিটি রোড ক্যাম্পাসে যে পড়ুয়ারা ছাড়াও প্রচুর বহিরাগত এসেছিলেন, সংবাদসূত্রে তা জানা গেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিটির সঙ্গে দোল উৎসবের আদৌ কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
উপাচার্য জানিয়েছেন, ‘ছবিটি এই বছরের কি না বা ক্যাম্পাসের মধ্যেই তোলা হয়েছে কি না, তা এই মুহূর্তেই বলা সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখবে। দোল উৎসবে অনেক বহিরাগতও আসেন। ফলে ওই ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে, তারা আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া কি না, সেটাও জানা দরকার।’ প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত বছরের দোল উৎসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল কয়েকটি তরুণকে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এহেন আচরণ মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। আবারও সমালোচনার মুখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার ৫০ হাজার প্রবেশপত্র ছাপিয়েও রোখা গেল না বহিরাগতদের। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে এভাবে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগকেও ভাল চোখে দেখছেন না নেটিজেনদের একাংশ।