কলকাতা: করনোভাইরাসের আতঙ্ককে সরিয়ে দিয়ে পুর ভোটের নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে গিয়েছে। এপ্রিলেই হতে পারে পুরোভোট। সেই ভোটের নদরদারিতে কোনও খামতি চায় না লাল বাজার। কলকাতায় আকাশপথে নদরদারি চালাবে লাবাজার। আটটি ড্রোন কেনার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে লাল বাজার চলতি সপ্তাহেই ড্রোন কেনার জন্য টেন্ডার ঘোষণা করেছেন। লালবাজার মনে করছে, আটটা ড্রোন কিনতে মোট ৭২ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
বস্তুত, কলকাতা পুলিশের ইতিমধ্যেই ৩টি ড্রোন ব্যবহার করে। কিন্তু শহরে সিএএ বিক্ষোভ থেকে শুরু করে জমায়েত যেভাবে বাড়ছে, তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে শুধুমাত্র মাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখতে চাইছে না পুলিশ। আগামী পুরভোট তো বটেই, এমনকী বিভিন্ন বড় জমায়েত, বহুতলে আগুন থেকে দুর্গাপুজোতেও যাতে পাখির চোখে শহরের ওপর নজর রাখা যায়, তার জন্যই এবার ড্রোনের সংখ্যা আরও বাড়াতে চাইছেন লালবাজারের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ৪টি ড্রোনের পাল্লা হবে সাড়ে ৩ কিলোমিটার এবং বাকি ৪টির পাল্লা হবে ২ কিলোমিটার। এগুলি প্রত্যেকটিই দীর্ঘক্ষণ ধরে আকাশে ভেসে থাকতে সক্ষম হবে।
কি কি বিশেষত্ব থাকছে এই ড্রোনগুলিতে? জানা গিয়েছে, এক-একটি ড্রোনের ওজন ৪ কেজির থেকেও হালকা হবে। সমুদ্র থেকে ৩০০০ এএমসিএল উচ্চতা পর্যন্ত এগুলি যেতে পারবে। একেবারে শূন্য ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা এগুলি সহ্য করতে পারে। ১৮ নট পর্য্ন হাওয়ার গতিবেগ প্রতিরোধে সক্ষম সাড়ে ৩ কিলোমিটার পাল্লার ড্রোন, আর ৬ নট পর্যন্ত হাওয়ার গতিবেগ প্রতিরোধে সক্ষম ২ কিলোমিটার পাল্লার ড্রোন। নির্দেশ পেলে ৫ মিনিটের মধ্যে স্বস্থানে পৌঁছে আবার নির্দেশ পেলে ১০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসতে পারে।
লালবাজারের এক আধিকারিক বলছেন, এমন অনেক সময়ে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলি খুব অল্প সময়ে নোটিশ দিযে বড় মিছিল বা মিটিং করার প্রচেষ্টা থাকে। ওই মিছিল বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ে পুলিশের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আযোজন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মিছিলের মধ্যে থাকা খুব কম লোক নজরদারির ফাঁক ফোকরের সুযোগ নিযে অনেক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনা সেই শিক্ষা একবার চোখে আঙুল দিযে দেখিয়ে দিয়েছে। এই ড্রোনগুলি নিয়ে নজরদারি চালালে পুলিশের হাতে পর্যাপ্ত ভিডিও ফুটেজও থাকবে। একই ভাবে বহুতলে আগুন লাগলে ভিতরের পরিস্থিতি দেখা অথবা দুর্গাপুজোতে কোনও এলাকাতে বেশি ভিড়ের কারণে মণ্ডপে বা রাস্তার ট্রাফিকে সমস্যার সৃষ্টি হলে ওপর থেকে দেখে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে পুলিশের।