কলকাতা: আদায়ে পিছিয়ে শহরের একাধিক এলাকা। আর্থিক বছর শেষ হতে চললেও লক্ষ্যের ধারে কাছে নেই কলকাতা পুরসভার কর আদায়ের পরিমান। শিয়রেই পুরভোট। তাই এবার মরিয়া হয়ে ৩১ শে মার্চের মধ্যে কর আদায় সন্তোষজনক না হলে আধিকারিকদের বদলি করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। বুধবার পুরভবনে দক্ষিণ কলকাতা এলাকার কর মূল্যায়ন বিভাগের আধিকারিক, ম্যানেজার ও পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডেপুটি মেয়র। লক্ষ্য অনুযায়ী সন্তোষজনক কর আদায় না হওয়ার ডেপুটি মেয়রের তোপের মুখে পরেন উপস্থিত সকলে।
এরপরেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ৩১ শে মার্চের মধ্যে সন্তোষজনক কর আদায় না হলে, অনেক আধিকারিকদের পদ খোয়াতে হবে। বৈঠকের পর অতীন ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ” একমাত্র গার্ডেনরিচ ছাড়া কোন এলাকারই কর আদায় সন্তোষজনক নয়। যে এলাকাগুলি থেকে কর আদায় বেশি হওয়া উচিত, সেখান থেকে কর আদায় হচ্ছে না। তাই ৩১ মার্চ সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। যেসব বহুতলের মালিক বা বহুতল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করা উচ্চবিত্ত করদাতাদের বিপুল পরিমান কর বকেয়া হয়ে রয়েছে, তাদের কজনের বিরুদ্ধে রেন্ট এটাচমেন্ট করা হয়েছে, ডিসট্রেন্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে, বা সম্পত্তিতে তালা দেওয়া হয়েছে তার রিপোর্ট দিতে হবে। অন্যদিকে, কম পরিমান কর বকেয়া রয়েছে এরকম কজনকে ওয়েভার স্কিমের আওতায় এনে, বকেয়া কর আদায় করা গেছে, তার রিপোর্টও জমা দিতে হবে। কর আদায়ে উন্নতি না হলে, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পুরসভা সূত্রে খবর, গতবছরের তুলনায় গার্ডেনরিচ এলাকায় কর আদায়ের পরিমান ৬০ শতাংশ বাড়লেও, যাদবপুর এলাকায় মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা মোটেই সন্তোষজনক নয়। অন্যদিকে, টলি ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট, নর্থ, সাউথ সুবারবান, জোকাতেও লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে নেই কর সংগ্রহ। এর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা এলাকায় ৬০০ কোটি টাকার উপর কর বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।