কলকাতা: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে জেরবার গোটা দেশ। বাংলার মানুষের মনেও রয়েছে আতঙ্ক। মুর্শিদাবাদের মৃত যুবক জুনারুল হককে নিয়েও রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল জল্পনা। যদিও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছুই বলেননি চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে বেলেঘাটা নাইসেডে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিশ্চিত করল যে, মুর্শিদাবাদের ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ করোনা নয়।
আরও পড়ুন: একা করোনায় রক্ষা নেই, চিকেনে বার্ড ফ্লু দোসর! বাড়ছে আতঙ্ক
সৌদি আরব থেকে ফিরেছিলেন ৩৩ বছরের জিনারুল হক। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও রাখা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ৮ মার্চ থেকে আতঙ্কে কাঁপছিল গোটা বাংলা। অবশেষে করোনা নিয়ে সব জল্পনা নস্যাৎ করল বেলেঘাটা নাইসেডের রিপোর্ট। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়নি জিনারুল হকের, বলছে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। এই খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্যের মানুষ।
যদিও মুর্শিদাবাদের ওই যুবকের মৃত্যু প্রসঙ্গে এর আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এই বিষয়ে জনগণের উদ্দেশ্য আশ্বস্তসূচক কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, 'ওই যুবকের হাই সুগার ছিল। ইনসুলিন নিতে হতো তাঁকে। সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসার পর গত তিন-চার দিন তাঁর কাছে ইনসুলিন কেনার মতো কোন টাকাও ছিল না। এদিকে জ্বর, কাশি এবং সর্দিতেও ভুগছিলেন। ফলে প্রাথমিক সতর্কতা হিসাবে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।' জিনারুলের মৃত্যু যে করোনা সংক্রমণে হয়নি, তা-ও জানিয়েছিলেন এই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি বলেন, 'যা বোঝা যাচ্ছে তাতে একপ্রকার নিশ্চিত যে ,ডায়াবেটিসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তবু তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠান হয়েছে। তবে ওই যুবকের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে'।