কলকাতা: করোনভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ সারা বিশ্বে চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ করোনায় জেরে ইতালির নাগরিকদের ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে৷ কোনও প্রয়োজনে বাইরে বের হতে গেলেও অনুমতির প্রয়োজন বলে ইতালি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে৷ ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ মঙ্গলবার ভারতো ৫৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ বাংলায় এখনওকরোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া না গেলেও আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে৷ সেই আতঙ্কের পারদ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বতর্মানের আবহাওয়া করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য উপযুক্ত৷
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা মূলত ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়াতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব সব থেকে বেশি৷ সেই হিসেবে দেখতে গেলে, বর্তমানে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে৷ মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা বেশ খানিকটা নীচে নেমে যাচ্ছে৷ আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আর্দ্রতার পরিমাণও বাড়ছে৷ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৩০ ডিগ্রির পর প্রতি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে করোনা ভাইরাসের সংখ্যা ৩.৫ শতাংশ হারে কমতে থাকে৷ আবার অন্যদিকে, বাতাসের আর্দ্রতা ৬০ শতাংশের মধ্যে থাকলে তা করোনা ভাইরাসের অনুকূলে যাবে৷ তবে ৬০ থেকে ৯০ শতাংশের আর্দ্রতা অস্বস্তিতে ফেলবে করোনা ভাইরাসকে৷ তখন করোনা ভাইরাস সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না৷
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই কারণে এসিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা সব থেকে বেশি৷ তবে আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা একসঙ্গে বৃদ্ধি পেলে করোনা ভাইরাস দ্রুত দেশ ছাড়া হবে৷ হিসেব করে দেখলে বোঝা যাবে, উন্নত দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি৷ তবে এর নেপথ্যে রয়েছে, আবহাওয়া৷ আমেরিকা-সহ ইউরোপের যে সব দেশে তাপমাত্রা বর্তমানে কম ও আদ্রর্তা কম সেখানেই করোনা ভাইরাস ব্যাপক পরিমাণে ছড়িয়ে পড়েছে৷ অন্যদিকে ইরানেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইরানে এখন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে৷ আবার আর্দ্রতা ২০-র থেকে নীচে৷ সেই কারণে আমেরিকা, ইউরোপের পাশাপাশি ইরানে করোনা ভাইরাস ব্যাপক পরিমাণে ছড়িয়ে পড়েছে৷