স্কুলছুট বয়ঃসন্ধির মেয়েদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রাজ্য

স্কুলছুট বয়ঃসন্ধির মেয়েদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রাজ্য

c3ee50a4fa6f7482810d88a124b13fbc

পুরুলিয়া: স্কুলে যেতে অনীহা৷ নানা ভাবে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেও ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ এই পরিস্থিতি ভোকেশ্যনাল ক্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়৷ 

কিন্তু তাতেও ফিরিয়ে আনা যায়নি দলছুট ছাত্রীদের৷ এবার তাঁদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার৷ এই প্রশিক্ষণের জেরে ছাত্রী নিজেরা আয় করতে পারবেন৷ রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরের স্কুল ছুট ছাত্রীদের জন্য প্রশিক্ষণের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ 

রাজ্য সরকার দেখেছে, পনেরো বছরের ঊর্ধ্বে ও আঠারো বছরের নীচে ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন৷ মূলত সপ্তম শ্রেণির পর থেকে ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে৷ এর জন্য পারিবারিক কারণ অনেকাংশে দায়ী৷ আর্থিক অনটনের জেরেই অনেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷ রাজ্য প্রশাসনের তরফে বুঝিয়ে স্কুলে পাঠানোরও চেষ্টা করা, সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়৷ এরপর রাজ়্ সরকার চেষ্টা করে মুক্ত স্কুলে পড়াশোনা যাতে করতে পারে পড়ুয়ারা৷ কিন্তু মুক্ত স্কুলে পড়াতে ছাত্রীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি৷ বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে৷  

জানা গিয়েছে, এই প্রশিক্ষণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে  গিয়েছে৷ পুরুলিয়ার বড়াবাজার ব্লকে ইতিমধ্যে ২৭ জনকে নিয়ে সাবুই ঘাষ দিয়ে শৌখিন জিনিস মানানোর কাজ শুরু হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের খাদি ও গ্রামীণ তত্ত্বাবধানেও  পুরুলিয়ার একটি অংশে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে৷ এছাড়াও বাঁকুড়াতেও এই কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ছাত্রীদের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার উৎসাহ দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ 
প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, এক কেজি সাবুই ঘাস থেকে ৪-৫টি টুপি তৈরি করতে পারছে ছাত্রীরা। তা বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে প্রায় ১০০ টাকা করে। লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও এই সাবুই ঘাস দিয়ে টুপি, ফুলদানি, পেন স্ট্যান্ড, পেপার ট্রে, টেবিল ম্যাট, ওয়াল ম্যাট, শুকনো খাবার রাখার পাত্র সহ প্রায় ২০টি সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। 

প্রশাসনের আধিকারিকরা দেখেছেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের থেকে থেকে কম সময়ে কাজ শিখে নিতে পারছে বয়ঃসন্ধির এই ছাত্রীরা। মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা রোজগারেরও ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। প্রদীপবাবু জানান, কাজ শেখার পর তৈরি জিনিস বিক্রির জন্য বাজারের ব্যবস্থা করা, আরও অর্ডার পাওয়া, কাজে উৎসাহ দেওয়া এবং গোটা কার্যক্রমের ধারাবাহিক ফলো আপ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *