‘ফিট’ সত্ত্বেও ইতালির ৩ নাগরিককে জেলা ছাড়ার নির্দেশ বর্ধমা‌ন প্রশাসনের

‘ফিট’ সত্ত্বেও ইতালির ৩ নাগরিককে জেলা ছাড়ার নির্দেশ বর্ধমা‌ন প্রশাসনের

বর্ধমান:  করোনায় এখনও বাংলায় কেউ আক্রান্ত হননি। কিন্তু আতঙ্কের জেরে মা‌নুষ বিচার বুদ্ধি লোপ পেতে শুরু করেছে সাধারণ মা‌নুষের। ইতালিতে ব্যাপকহারে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া যাচ্ছে। আট শতাধিক মা‌নুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু এই কারণে ইতালির নাগরিকদের জেলা ছাড়া করলেন বর্ধমানের একদল বাসিন্দা। ফিট সার্টিফিকেট দেখিয়েও মেলেনি রেহাই।

জানা গিয়েছে, পুলিশ জানতে পারে গুসকরায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিন জন ইতালির নাগরিক এসেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ছুটে যান। সুরক্ষা বলয় হিসেবে হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্কও পরে নেন। ইতালির ওই তিন নাগরিকের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিরাপত্তার দোহাই দেখিয়ে জেলা ছেড়ে চ‌লে যাওয়ার আবেদন করেন। সেই সময় তিন বিদেশি ফিট সার্টিফিকেট দেখান। তাতেও প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, এই জেলায় তাঁদের থাকা যাবে না। যে স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থার হয়ে ওই তিন বিদেশি কাজ করেন, সেই সংস্থার এক আধিকারিক জানান, ‘মানছি করোনা নিয়ে মা‌নুষ খুব আতঙ্কে রয়েছেন। কিন্তু কলকাতা বিমান বন্দরে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। তারপরেই তাঁরা দেশে প্রবেশ করার ছাড়পত্র মিলেছে। গরিব মানুষের জন্য তাঁরা কাজ করেন‌। সেই কারণেই তাঁরা এত দূরে ছুটে এসেছেন।’

ওই বিদেশিনীরা জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, ইতালি থেকে দমদম বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ছাড়পত্র মেলার পর তাঁরা ঝাড়খণ্ডে চলে যান। বুধবার বর্ধমানে এসে একটি হোটেলে রাত্রিবাস করেন। বৃহস্পতিবার প্রথমে আউশগ্রামের একপাড়াডাঙ্গা এলাকায় একটি হোম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে যান গুসকরায়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ওই জায়গা থেকে  চলে যেতে বলা হয়। এরপরেই ওই তিনজন চলে যান ভাতারের জামবনি এলাকায় অন্য আরেকটি প্রকল্প পরিদর্শনে। যদিও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কো‌নও কথা প্রশাসনিক আধিকারিকেরা কানে তোলেননি।  তাঁর তিন বিদেশিকে একপ্রকার জোর করে ঝাড়খণ্ডের দিকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 18 =