কলকাতা: কয়েকদিন আগে পর্যন্তও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল শিবিরে ফেরা নিয়ে চলছিল জল্পনা। তবে গত সপ্তাহেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের ওয়ার্ড (১৩১ নং) ও বিধানসভা কেন্দ্রের (বেহালা পূর্ব) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে শোভনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা কার্যত শেষ হয়েছিল। কিন্তু শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ বৈঠককে কেন্দ্র করে জল্পনা অন্যদিকে মোড় নেয়। এই পরিস্থিতিতে সেই জল্পনা আরও তুঙ্গে আজ বৈশাখীর নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে। যদিও নবান্নে যাওয়ার সঙ্গে শোভনের তৃণমূলের ফেরার সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো যে ‘কাননে’র খোঁজ নিয়েছেন, সে কথা জানিয়েছেন বৈশাখী৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষ হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কী কারণে এই বৈঠক সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বৈশাখী সাফ জানিয়েছেন, ‘‘নবান্নে যাওয়ার সঙ্গে শোভনের তৃণমূলে ফেরার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি আমার কলেজের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। দিদি আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি দেখবেন৷’’ তবে সেখানেও আলোচনায় উঠে এসেছে শোভনের নাম। ‘কানন’কে কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সে প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, ‘‘শোভনের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। বরাবরই শোভনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকেন দিদি। শোভন কেমন আছে এখন? ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, ওর শরীর ঠিক আছে কি না, তারও খোঁজ নিয়েছেন। তাছাড়া এখন করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে চারদিকে, এই পরিস্থিতিতে যাতে শোভন সাবধানে থাকেন, সেই পরামর্শও দিয়েছেন দিদি৷’’
এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'ঘণ্টার বৈঠক হয়েছিল দু'দিন আগেই। যদিও শোভন চট্টোপাধায়কে নয়ে জল্পনা প্রসঙ্গে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘শোভনদা তৃণমূলে সক্রিয় হবেন কি হবেন না, কোন দলে থাকবেন, তা ওঁর সিদ্ধান্ত। শোভনবাবু একজন রাজ্য ও জাতীয় স্তরের নেতা। ৩৫ বছর ধরে উনি রাজনীতিতে সক্রিয়।’’