কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকায় শুরুর দিকেই রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজ্যের ক্লাবকে দেওয়া। শুধু এককালীন নয়। পরবর্তী তিন বছর ধরেও ক্লাবকে দেওয়া হয় টাকা। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল ১২ মার্চের অনুষ্ঠানে। এদিন মঞ্চ থেকেই তিনি বাংলার ক্লাবকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা।
মঞ্চ থেকে শুরু করে দর্শকাসনে এদিন ছিলেন অসংখ্য ক্রীড়াবিদ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকেই জানালেন, রাজ্যের ২৬০০০ ক্লাবকে প্রথমে ২ লক্ষ টাকা এবং তার পরবর্তী ৩ বছর এক লক্ষ টাকা কতো অনুদান দেওয়া হয়। মূলত খেলার সরঞ্জাম এবং মাথা তুলে দাঁড়াবার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ। 'আজকেও যারা টাকার জন্য এসেছেন তাঁরা টাকা পাবেন'. বলেই জানান মমতা। তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের বিশেষ নিষেধাজ্ঞার প্রতি সম্মান জানিয়েই তাঁর অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানদের উদ্দেশে বলেন, 'এখান থেকে দয়া করে অনুদান দেবেন না। যেহেতু জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত।' করোনা আতঙ্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আসুন আমরা সমাজে সবাই ভাল থাকি। আপনারা ভাল থাকলে আমরা ভাল থাকব।
যারা এসেছেন তারা অনুষ্ঠানের পরে একটু জল টল খেয়ে ফিরে যাবেন। কিন্তু তাদের ক্লাবের টাকাটা ক্লাবে পৌঁছে দেওয়া হবে। আপনাদের আর লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে না। এই গরমের মধ্যে কষ্ট করে দাঁড়াতে হবে না।' তবে কীভাবে ক্লাবগুলি টাকা পাবে দেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের ক্লাবগুলি ডিজির মাধ্যমে টাকা পাবে। আর কলকাতায় যারা আছে তারা পুলিশ কমিশনার এর মাধ্যমে টাকা পাবে। তিন দিনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে টাকা।' চিন্তা করতে বারণ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গক্রমে দুর্গাপূজার সময় ক্লাবগুলোয় অনুদান পাঠানোর কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেন, 'একটা ব্যবস্থা তো আমাদের আছে। সুতরাং সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যাবে।'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, 'আমি চাই আপনারা সমাজের ভালো কাজে এগিয়ে আসুন। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।' এছাড়াও ক্লাব যে যেকোনও এলাকার স্তম্ভ, সেই কথাও শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে।