কলকাতা: গৃহদেবতার আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের তিন বেলায় 'মমতা দেবী নমঃ' মন্ত্র শোনা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের ভুপতিনগরের সুদর্শন রায়ের বাড়ি থেকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণময়ী রূপই তাঁকে দেবীর আসনে বসিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তাই সকাল, দুপুর, রাত্রি নিজে হাতে পুজো করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মানা সুদর্শনবাবুকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের সুদর্শন রায়ের বাড়ির পাশ দিয়ে গেলে হয়তো শোনা যাবে 'মমতা দেবী নমঃ' মন্ত্রটি। এমনটাই হয়ে আসছে বহুদিন ধরে। নিজের বাগানের ফুল তুলে নিজে হাতে পুজো দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। কখনও সামনে থেকে দেখেননি। তাই তাঁর মূর্তিতেই নিবেদন করেন ফুল। তবে তাঁর 'আরাধ্য দেবী'কে একবার সামনে থেকে দেখতে চান সুদর্শন বাবু। তিনি বলেন, 'তাঁর মূর্তি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বসিয়ে এতদিন দেবদেবীর সঙ্গে পুজো করে এসেছি। সেই দেবীকে সামনে দেখতে পাব, এই সম্মানটুকু যাতে পাই, সেটা আশাকরি আমাকে বিমুখ করবেন না।'
মানুষের মঙ্গল কামনায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষ তাঁর এই সক্রিয়তা কোনওদিন ভুলবেন না বলেই বিশ্বাস তাঁর। তিনি মানুষের মঙ্গলের জন্য যে সমস্ত কাজ তিনি করেছেন, তাতে তিনি পুজোরই যোগ্য। তাছাড়া কেবলমাত্র রাজ্য বা দেশের মানচিত্রেই আটকে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা। বরং গোটা পৃথিবীর কাছে যে তিনি একদিন আদর্শ হয়ে উঠবেন, তেমনই মনে করেন ওই প্রবীণ। তিনি বলেন, 'শুধু আমাদের দেশে নয়, সমগ্র পৃথিবীতে তিনি যেন একটা আদর্শ। সেই জন্যই আমি পূজা করছি। আমি তো মনে করি, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদি প্রকল্প পৃথিবীর অন্য কোথাও হয়েছে কি না আমার জানা নেই।'