গাড়ি ফাস্ট ট্যাগে সমস্যা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাস মালিকদের

গাড়ি ফাস্ট ট্যাগে সমস্যা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাস মালিকদের

কলকাতা:  যাত্রী পরিবহনে ‘ফাস্ট ট্যাগ’ অর্থাৎ টোল প্রদানের নতুন ব্যবস্থার বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল বাস মালিকদের সংগঠন।
২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় সড়ক পরিবহন অথরিটি টোল মেটানোর জন্য এই  স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে। এর পর ২০১৯ থেকে সারা দেশে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কিন্তু  বিভিন্ন রাজ্য টোলের  হারে কোন সামঞ্জস্য নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশায় যেখানে টোলগেট অতিক্রম করতে একটি বাসে যে টাকা লাগছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে লাগছে অনেক বেশি।  জয়েন্ট  কাউন্সিল অফ সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংশ্লিষ্ট সমস্যার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে মুশকিল আসানের পথ খুঁজতে আর্জি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

তপনবাবুর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বাসের টোল গেটট অতিক্রম করতে দৈনিক সাড়ে পাঁচশ থেকে প্রায় এক হাজার টাকা লাগছে। প্রতি মাসে মোট কতবার অতিক্রম করবে একটি বাস, তার আগাম আন্দাজ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে সেই অর্থ অগ্রিম জমা রাখতে হবে। সেখান থেকে ইসিএসে টোলগেট অতিক্রমের টাকা কেটে নেওয়া হবে। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট বিক্রির টাকা না পেলে এত টাকা কী করে জমিয়ে রাখবেন মালিকরা? দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই টাকা না গচ্ছিত থাকলে টোল-মাশুলের দ্বিগুণ জরিমানা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

বাসমালিকদের অভিযোগ, টোলগেটের লাইনে না দাঁড়িয়ে দ্রুত যাতে বাস বেরিয়ে যেতে পারে, সে কারণে এই বিধিতে গেটের পাশে সার্ভিস রোড রাখার কথা বলা সয়েছে। অথচ, সেই সার্ভিস রোডের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের প্রায় ৪০,০০০ বাস  সমস্যায় পড়েছে।  আমরা শহরে যারা বাস চালাই, প্রতি বছর পথকর বাবদ চার হাজার টাকা এবং জেলায় যাঁরা বাস চালান তাঁরা বছরে আরও ৭ হাজার টাকা করে পথকর দেন। তার ওপরে টোল গেট অতিক্রম করার জন্য এ রকম হারে এত অগ্রিম টাকা কীভাবে জোর করে নেওয়া হচ্ছে?

তপনবাবু বলেন, যদি কেন্দ্র ব্যাপারটা বিবেচনা না করে তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।  বিষয়টি নিয়ে আমি রাজ্যের পরিবহন সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিক আরপি সিংহের সঙ্গে কথা বলেছি । কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 6 =