কলকাতা: করোনা ধাক্কায় অবশেষে পিছিয়ে গেল রাজ্যের পুরোভাট৷ সম্ভাবনা একটা ছিলই৷ সোমবার সেই সম্ভাবনাতেই সিলমোহর দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷
পুরোভোট পিছনোর দাবি আগেই তুলেছিল তৃণমূল ও রাজ্যের বিরোধী শিবির৷ সোমবার সর্বদল বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়ে দিলেন, এপ্রিল নয়, রাজ্যে পুরোভাট হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে৷ তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি করোনার মোকাবিলা করা৷ আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসুক৷ তারপরই নির্বাচন হবে৷’’
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি রাজ্যে পুরভোট করানোর পরিকল্পনা ছিল শাসকদলের। ওই সময় নির্বাচন হলে এর মধ্যেই জারি হয়ে যেতো ভোটের বিজ্ঞপ্তি৷ কিন্তু সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিল নোভেল করোনা৷ করোনা রুখতে বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার৷ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ বন্ধ সব রকম স্পোর্টস ইভেন্ট৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের তরফে বারবার জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে৷ এই অবস্থায় ভোট করাতে হলে সমস্যায় পড়তে হতো সব কটি রাজনৈতিক দলকে৷ কারণ ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জোড়কদমে শুরু হয়ে যেত প্রচার, জনসভা৷ যা এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য বিধির পরিপন্থী৷
সবদিক খতিয়ে দেখে শাসক দলের পাশাপাশি ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছিল রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও। এ নিয়ে রবিবার রাতেই বিবৃতি জারি করে তৃণমূল। সকলেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। সেইমতো আজ সর্বদল বৈঠক ডাকেন নির্বাচন কমিশনার। ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে, তা একপ্রকার বোঝাই যাচ্ছিল৷ সোমবার সকালে সর্বদল বৈঠকের আগে রাজ্যপালের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে তাঁর মতামতও নিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বৈঠকের পর পুরভোট পিছনোর কথা জানিয়ে দেন তিনি৷
কমিশন সূত্রে খবর, হাওড়া ও কলকাতায় ভোট নেওয়া হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে। বাকি ১০০টি পুরসভায় ভোট হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে৷ আপাতত এই সূচিই স্থির হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল৷