করোনা দূর কর মা! ভক্তি ভরে বাংলায় গোমাতা পুজো, গোমূত্র বিলি বিজেপি নেতার

মহাধূমধামের সঙ্গে গো-আরাধনার আয়োজন করলেনজোড়াসাঁকোর স্থানীয় বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।পূজোস্থলে একটি ল্যমিনেট করা পোস্টরে লেখা ছিল “গোমাতা, করোনা থেকে বাঁচাও, আশীর্বাদ কর”। 

করোনা: করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা যেখানে কোনোরকম আশ্বাস বা বিশ্বাস জোগাতে ব্যর্থ। সেখানে ভারতের অবস্থান ঠিক কি? এইমুহুর্তে এর উত্তর দিতে পারেন একমাত্র এদেশের গোমাতার একনিষ্ঠ ভক্তকুল। তাই এই চরম সত্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এক এক রাজ্য থেকে উঠে আসছে এক এক রকম চিত্র। যেমন গত শনিবার অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার চক্রপাণি মহারাজের 'গোমূত্র পার্টি'র সাক্ষী ছিলেন দিল্লির মন্দির মার্গের বাসিন্দারা এবং ইন্টারনেটের দৌলতে গোটা দেশ তথা বিশ্বের মানুষ। তেমনই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কলকাতার জোড়াসাঁকোর স্থানীয় বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।

সোমবার সকালে মহাধূমধামের সঙ্গে গো-আরাধনার আয়োজন করেন তিনি। স্থানীয় একটি খাটালে গিয়ে ফুল-মালা, ধূপ-ধুনো সহযোগে,ঘন্টা বাজিয়ে,আরতি করে, লাড্ডু প্রসাদ সাজিয়ে পরম ভক্তিভরে পূজার্চণা করলেন গোমাতার এই একনিষ্ঠ ভক্ত। খাটালের খুঁটিতে গরুর সঙ্গে পূজো পেল তার ছোট বাছুরটিও। পূজোস্থলে একটি ল্যমিনেট করা পোস্টরে লেখা ছিল আর্জি। “গোমাতা, করোনা থেকে বাঁচাও, আশীর্বাদ কর”। পদ্ম-গাঁদায় সুসজ্জিত দুটি নীরিহ প্রাণীকে বেশ শক্ত করে খুঁটিতে বেঁধে রেখেছিলেন খাটাল মালিক।

এত আড়ম্বরের মাথামুন্ডু না বুঝে ক্ষেপে গিয়ে পাছে কোনো কান্ড না ঘটিয়ে বসে। গোমাতার জন্য বিশেষভাবে আনা হয়েছিল হাতে গড়া রুটি। যা একটা একটা করে গরুর মুখে পুরে দিচ্ছিলেন। যাতে গোমাতা তুষ্ট হন। সঙ্গে ছিলেন এক দলীয় নেত্রী। নারায়ন বাবুর দৃঢ় বিশ্বাস, মে একমাত্র গোমাতার কাছেই রয়েছে কোভিড-১৯ কে জব্দ করার একমাত্র উপায়। আর এক্ষেত্রে মূল উপাদান গোমূত্র। তাই পূজোর পর করোনা মুক্তির আশীর্বাদ পেতে চরণামৃত হিসেবে পান করলেন ওই গোমাতার মূত্র।

প্রসাদে লাড্ডুও ছিল। তবে ওই লাড্ডু প্রসাদ খাওয়ার একটাই শর্ত ছিল। আগে চরণামৃত হিসেবে গোমূত্র সেবন করলে তবেই মিলবে লাড্ডু প্রসাদ। স্পষ্টবক্তা নারায়ন বাবুর কথায় গরু আমাদের ভগবানের আর তাঁর মূত্র পান করলে করোনা কাছেও ঘেঁষবেনা। আরও একধাপ এগিয়ে সেখানে উপস্থিত বিজেপি নেত্রী বললেন এক গোরুর মধ্যেই ৩৩ কোটি দেবতার বাস তাই তিনি ও তাঁর পরিবার নিয়মিত গোমূত্র সেবন করেন।

তবে শুধু এনারাই নন। খাটাল মালিকের কথায় অনেকেই তার খাটাল থেকে গোমূত্র নিয়ে যান, পূজোর জন্য বা অসুখ বিসুখে কাজে লাগাবেন বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *