কলকাতা: নির্বাচনের পরিচয়পত্রে নামের বানান ভুলের অভিযোগ অনেকেই তোলেন। এমনকী, পরিচয়পত্রের ছবি নিয়েও অভিযোগ শোনা যায়। এবার ভোটার কার্ডে মানুষের ছবির বদলে কুকুরের ছবি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদে। তবে এই ভুলের দায় নিজেদের কাঁধে না নিয়ে বুথ স্তরের আধিকারিকের (বিএলও) ওপর দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আগামী বুধবার বিকেলে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের অফিসে গণডেপুটেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বিএলও শিক্ষকরা।
মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কার বেওয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ নম্বর বুথ এলাকার বাসিন্দা সুনীল কর্মকারের নির্বাচনের পরিচয়পত্রে তাঁর বদলে দেওয়া হয়েছে কুকুরে ছবি। এই ঘটনায় বিএলও শিক্ষক বিনয়চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করার খবর পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন, 'ফারাক্কার সমস্ত বিএল ও শিক্ষক বন্ধুদের নিয়ে আগামীকাল বিকেল তিনটেয় বিডিও অফিসে গণডেপুটেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আপনারা জানেন যে, ভোটার কার্ডে কুকুরের ছবি ছাপানো ও বিতরণের অভিযোগে দফতর (মুর্শিদাবাদ) বিএলও বিনয় রায়কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দিকে এগোচ্ছে। আজ বিনয়কে দোষী সাজিয়ে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে ফারাক্কা ব্লক অফিস। আগামীকাল অন্য বিএলও-দের ক্ষেত্রেও হতে পারে। তাই একজন অসহায় প্যারাটিচারের পাশে দাঁড়াতে ও বিএলও-দের নিরাপত্তার স্বার্থে ডেপুটেশন খুব জরুরি।' তবে এতে কোনও সুরাহা না মিললে অন্য পথ অবলবন করবেন বলেও জানিয়েছেন তন্ময়বাবু। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের রাজ্য অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতেও যেতে পারেন শিক্ষকরা।
সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের দিয়ে বছরের পর বছর বুথ স্তরের বিভিন্ন কাজ করানো হচ্ছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু ভাল কাজের মূল্যায়ণ হয় না। তবে কোনও ত্রুটি হলে বা সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে জোটে ওপর তলার হুমকি। এই বিষয়টিকেই মেনে নিতে পারছেন না মুর্শিদাবাদের শিক্ষকমহল।