কলকাতা: বাংলায় প্রথম লন্ডন ফেরত যুবকের শরীরে মিলেছে করোনা সংক্রমণ৷ আর তাঁর রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যলয় নবান্নে ছড়িয়ে আতঙ্ক৷ সংক্রমণ রুখতে নবান্নে শুরু হয়েছে সাফাই পর্ব৷ করোনা নিয়ে সাধারণ জনতার মধ্যেও ছড়িয়ে আতঙ্ক৷ আর তাঁর প্রভাব পড়েছে হাপাতালেও৷ করোনা সন্দেহ রোগীর চাপে ঠাঁই নেই বেলাঘাটায়! চলছে রেফার পর্ব৷
করোনা সন্দেহে রোগীর চাপে ঠাঁই নেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে৷ জায়গা সংকুলান হচ্ছে না বেলেঘাটা হাসপাতালে৷ আর জেরে কারোনা সন্দেহে আসা রোগীর চাপে ঠাঁই নেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে রোগীদের রেফার করা হচ্ছে আর জি কর হাসপাতালে৷ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে যে কটি আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে, তাতে এই মুহূর্তে করে কোনও রোগীর ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ ফলে, চাপ কমাতে আরজি কর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেফার পর্ব চলছে৷
এই মুহূর্তে নোবেল করোনাভাইরাস সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীদের চাপে স্থান সংকুলন দেখা গিয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে৷ আজ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে আসা ৫৫ বছরের এক ব্যক্তিকে প্রথমে বেলেঘাটায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে সেখান থেকে তাঁকে রেফার কয়েছে আরজি কর হাসপাতালে৷ রোগীর চাপে নাভিশ্বাস অবস্থা দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের৷
সূত্রের খবর, হাসপাতালে যতগুলি আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে, তা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে৷ নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না৷ সেই কারণ দেখিয়ে এক নারকেলডাঙ্গার বাসিন্দা এক ৫৫ বছরের এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে বেলেঘাটা আইডিতে৷ কিন্তু, বেলেঘাটা আইডি সেখান থেকে রেফার করে দিয়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজে৷ আরজি কর হাসপাতালে এই মুহূর্তে চিকিৎসকরা পরীক্ষা শুরু করেছেন৷
আজ সকাল থেকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশ খানিকটা বেশি ছিল৷ শুধুমাত্র নোবেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে রোগীরা যেমন ভিড় করেছেন, অন্যান্য রোগীরাও আসছেন ডাক্তার দেখাতে৷ দিনে দিনে বাড়ছে করোনা সন্দেহে আসা রোগীদের ভিড়৷