কলকাতা: 'সব শোনে মাস্টারমশাই' ও 'জনস্বার্থে মাস্টারমশাই' -সদর উত্তর চক্র তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সংগঠিত কর্মসূচি। যার দ্বিতীয় পর্যায়ে দেখা গেল গড়বেতা ৩ ব্লক ও শালবনী ব্লকের মধ্যে অবস্থিত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ভূগলুশোল, মহাশোল পশ্চিম ও রাধামোহনপুরে করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচার। সমস্ত ঝুঁকি মাথায় নিয়েও অসংখ্য শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন এই কর্মসূচিতে। মূলত জনসচেতনতা প্রচার করা এর প্রধান উদ্দেশ্য। ক্রমেই ছড়িয়ে পড়বে এই কর্মসূচি। পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষদের সচেতন করার প্রয়োজনীয়তা বেশি বলেই মনে করেন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা।
'সব শোনে মাস্টারমশাই' কর্মসূচির অধীনে রয়েছে প্রায় ১০০০টি ছোট ছোট দল। প্রতিটি দলে কমবেশি ৭ জন করে সদস্য। সারা রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার শিক্ষক ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করছেন বলেই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র৷ তিনি জানিয়েছেন, 'জঙ্গলমহলের অন্তর্ভুক্ত গোপীবল্লভপুর, কেশিয়াড়ী, শালবনীতে শিক্ষক শিক্ষিকারা জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে ঝুঁকি নিয়েও অংশগ্রহণ করছেন। এই কার্যক্রমে শিক্ষক শিক্ষিকারা সমাজে তাঁদের হৃতসম্মান ফিরে পাবেন বলেও আমি মনে করি। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে গন্তব্য ছিল শালবনীর আদিবাসী গ্রাম।’’
মেদিনীপুর সদর মহকুমা কনভেনার তন্ময় সিংহ বলেন, 'আমরা নিয়মিতভাবে প্রান্তিক মানুষদের সচেতন করার এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব। মানুষের তথা সমাজের জন্য মাস্টারমশাই ও দিদিমণিরা সবসময় পাশে আছেন। এই কর্মসূচি তারই প্রমাণ।' অঞ্চল কনভেনার অভিষেক বাবু বলেন, 'পড়ুয়াদের অভিভাবকদের নির্ধারিত দিনে সরকারের নির্দেশমতো আলু ও চাল বন্টন করে দেওয়ার জন্য স্কুলে উপস্থিত থাকার কথা বলেন। সচেতনতামূলক প্রচারের কাজে ছাপানো লিফলেট বিলি করেন অসীম কুমার দোলুই। এছাড়াও কর্মসূচিতে চক্র পার্শ্ব শিক্ষক কনভেনার লক্ষীনারায়ণ হেমব্রম ও নির্মল মাণ্ডি উপস্থিত ছিলেন। করোনার পরিস্থিতিতে কীভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, সেই বিষয়ে ধারণা দেন নম্রতা খাঁ। স্থানীয় অলচিকি ভাষায়ও চলে সচেতনতা প্রসারের কাজ। এক্ষেত্রে অংশ নেন নির্মলবাবু এবং লক্ষ্মীনারায়ণবাবু। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এহেন আচরণ কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন 'সব শোনে মাস্টারমশাই'-এর শিক্ষকরা।