লকডাউন বাংলা: চালু থাকবে কোন কোন পরিষেবা? দেখুন জেলাভিত্তিক তালিকা

সমস্ত জরুরী ও নিত্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও পরিবহন চালু থাকবে।  খাদ্য সামগ্রীর জন্য খোলা থাকবে মুদি ও রেশন দোকান।  প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হবেন না।

কলকাতা: ২৭ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। সোমবার বিকেলে ৫টা থেকে লকডাউন শুরু হবে। প্রথমে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ পশ্চিমবঙ্গের এই দুই জেলাতেই করোনায় আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এখন বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন এই নির্দেশিকার কথা জানানো হল রাজ্যসরকারের তরফে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে আপাতত চারদিন লকডাউন থাকলেও পরে প্রয়োজন অনুসারে সময় বাড়ানো হতে পারে। নির্দেশ অমাণ্য করলে ১৮৮ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবারই কেন্দ্রের তরফ থেকে কলকাতা-সহ দেশের ৭৫টি জেলা লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রে। ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকারগুলি চাইলে সেই লকডাউনের এলাকা বাড়াতে পারে।

একনজরে দেখে নিন কোন কোন পরিষেবা চালু থাকবে-

চাল-ডাল-তেল-নুনের মতো খাদ্যসামগ্রীর জন্য খোলা রাখা হবে মুদির দোকান ও রেশন দোকান। 

সবজি, ফল, মাছ, মাংস, দুধ, পাউরুটি বিক্রি, হিমঘর।

হাসপাতাল, প্যাথলজি ল্যাব, ওষুধের দোকান, চশমার দোকান।

অত্যাবশ্যক পরিষেবা যেমন পানীয় জল, ওষুধের দোকান, দুধ ইত্যাদি খোলা থাকবে।

বিপর্যয় মোকাবিলা,দমকল, সিভিল ডিফেন্স, জরুরি পরিষেবা, টেলিকম, ইন্টারনেট, আইটি ও ডাক বিভাগ।

ব্যাংক ও এটিএম।

পেট্রল পাম্প, এলপিজি গ্যাস, তেলের এজেন্সি। 

শ্মশান, কবরস্থান, লকডাউনের আওতায় পড়বেন না।

স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদমাধ্যমের কর্মী এবং সাফাইকর্মীদেরও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

জরুরী ছাড়া বন্ধ থাকবে সমস্ত গণপরিবহন পরিষেবাও। ট্যাক্সি, অটোরিকশা-সহ সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাস স্ট্যান্ড থেকে যাওয়া-আসা, মালবাহী যান ও নিত্য পরিষেবা প্রদানকারী পরিবহনের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

 

একনজরে দেখে নিন রাজ্যের জেলাভিত্তিক লকডাউন অঞ্চল-

সম্পূর্ণ এলাকা লকডাউন হচ্ছে রাজ্যের সাতটি জেলায়।  উত্তরবঙ্গের দুই জেলা উত্তর দিনাজপুর, ও মালদহ। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রয়েছে কলকাতা ও হাওড়া-সহ মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা। 

কলকাতা ও হাওড়ার ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের উপস্থিতি এবং বিদেশ ফেরতদের সংখ্যাধিক্যের কথা মাথায় রেখে পুরো জেলা লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

অন্যান্য জেলাগুলির ক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের সীমানা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

যে সমস্ত জেলা সদর শহরে লকডাউন করা হচ্ছে  আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ, দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়ি ও কার্শিয়াং শহর, বীরভূমের সমস্ত পুর শহর, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ও কালনা, বাঁকুড়ার বড়জোড়া ও বিষ্ণুপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ও ঘাটাল, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, দিঘা, কোলাঘাট ও কাঁথি, হুগলির চন্দননগর, কোন্নগর, আরামবাগ, শ্রীরামপুর ও উত্তরপাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, সোনারপুর, ভাঙড়, বজবজ ও মহেশতলা, উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউন ও সল্টলেক ছাড়াও সমস্ত পুরসভা এলাকা।

নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, বিদেশ ফেরত সবাইকে স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 7 =