কলকাতা: বৃহস্পতিবার বিকেলেই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে সারপ্রাইজ ভিজিটে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার-সহ শহর কলকাতা একাধিক হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর। কথা বললেন, হাসপাতাল সুপারদের সঙ্গে। স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে তুলে দেন মাস্ক৷ আজ বিকেলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা৷ সঙ্গে যেকোনও প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার আশ্বাসও দেন৷ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প গড়ারও নির্দেশ দেন তিনি৷ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তাও জানতে চান মমতা৷ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়েও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আস্বাস দেন মমতা৷
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিরোধীদেরও। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে লক ডাউন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, লক ডাউন পরিস্থিতি কেমন আছে, তা দেখতে তিনি নিজেই সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরবেন। কথামতো বৈঠক শেষে পৌঁছান আরজি কর হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। এদিন তিনি সুপারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথাবার্তা বলেন। স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা করছে কি না, তাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে নিয়ে যান কিছু মাস্কও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার সময় তিনি বলেন, 'আমি কিছু মাস্ক আর স্যানিটাইজার এনেছি। এগুলো কিন্তু স্বাস্থ্যবিভাগের নয়। ওরা আলাদা দেবে।' এছাড়াও চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টিও আলোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ডাক্তার, নার্সদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে আসা এবং পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এগুলো কিন্তু মাথায় রাখবেন। কারও কোনও অসুবিধা যেন না হয়। কারণ, আপনারা অসুস্থ হয়ে গেলে কিন্তু আর উপায় নেই। আমি স্বাস্থ্য দফতরকে বলে দেব যা যা আপনাদের অর্ডার আছে, তা সময়মতো পাঠিয়ে দিতে।' এদিন চিকিৎসকদের সক্রিয়তার প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুস্থতা কামনাও করেন তিনি। চিকিৎসকরা ভাল থাকলে যে তিনিও ভাল থাকবেন, সেই কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। এরপর শহর কলকাতা বিধিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখেন৷ পরে চলে যান রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার-সহ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে৷