কলকাতা: মঙ্গলবারই ২১ দিনের লক ডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফেও একের পর উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে লক ডাউন পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একগুচ্ছ ঘোষণা করেন এই দিন। তিনি মানবিক হওয়ার অনুরোধ করেন জনগণের উদ্দেশ্যে।
লক ডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের একটা বড় রোগ এসেছে। সেটাকে যেন আমরা আরও বড় করে না দেখি। রোগটাকে বড় করে দেখতে গিয়ে আমরা কিন্তু মানুষকে আলাদা করে দিচ্ছি। এটা যেন না হয়।' নিয়ম অমান্য করলে যে প্রশাসনের কেউও ছাড় পাবেন না, সতর্ক করেন তিনি। 'অনেক সময় ওসি-রা কিছু সিভিক পুলিশ বা হোমগার্ডকে দায়িত্ব দিয়ে দেন, বেচারারা হয়তো জানেন না খবরটা। ফলে তাঁরা সবাইকেই এক কারাগারে বন্দি করেন। এটা ঠিক নয়। স্টেট আইসি-দের দায়িত্ব নিতে হবে। এসপি-দের দায়িত্ব নিতে হবে। জেলাশাসকদের দায়িত্ব নিতে হবে। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকদের দায়িত্ব নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে দায়িত্ব নিতে হবে', বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা সংবাদপত্র দেন, তাঁদের জন্য যদি সংস্থার তরফে পুলিশের অনুমোদিত বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়, তাহলে বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি। রাজ্যে তৈরি হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যেকোনও সমস্যা জানাতে পারেন টোল ফ্রি ১০৭০ নম্বরে কল করে। ল্যান্ডলাইন নম্বর ০৩৩ ২২১৪ ৩৫২৬।
জরুরি পরিষেবা থেকে যেন বঞ্চিত না হন মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাজারে যাঁরা যাবেন দূরে দূরে লাইন করে দাঁড়ান। সাতজনের বেশি লাইন দেওয়া যাবে না।' প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হোম ডেলিভারি ও জরুরি পরিষেবা যেন না আটকানো হয়, সেই বিষয়েও বলেন তিনি। আসতে দিতে হবে সবজি বিক্রেতাদেরও। এছাড়াও জটলা না করে কৃষকদের মাঠে কাজ করতে দিতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি হাতজোড় করে বলব, মানবিক হোন।' চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।