কলকাতা: করোনাভাইরাস রুখতে কোনো চেষ্টায় ত্রুটি রাখতে চাইছেনা রাজ্য। নোভেল করোনা পরীক্ষায় আরও দ্রুততা আনতে নিজেরাই এবার টেস্ট কিট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনকে এই কিট তৈরি র দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। লালারস সংগ্রহের এই বিশেষ কিট -এর নাম “ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া”।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস স্টেজ থ্রিতে। অর্থাৎ কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। পাশাপাশি বিগত কয়েক দিনে যে হারে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে তাতে আর সময় নিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও স্বস্তির খবর 'ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া', তৈরির যন্ত্র ইতিমধ্যেই স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের কাছে আছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগে এই নিয়মিত এই কাজ হলেও মাঝে তা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। করোনা মোকাবিলায় এখন আবার নতুন করে সেই যন্ত্র কাজে লাগানো হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের দেহ থেকে সোয়াব অর্থাৎ লালারস সংগ্রহ করে অন্যরাজ্যের টেস্ট ল্যাব থেকে রিপোর্ট হাতে আসতে অনেকটা সময় নষ্ট হচ্ছে। এদের মধ্যেই কারো রিপোর্ট পজেটিভ থাকলে তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের চিহ্নিত করতে বা কোয়ারেন্টাইন করতেও তাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। আর এই লালারস পরীক্ষার জন্যই ‘ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া’ নামের এই কিটের প্রয়োজন হয়। মা এখন রাজ্যেই তৈরী হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বেলেঘাটা আইডি ও এসএসকেএমের পর রাজ্যে আরও তিনটি নতুন করোনা ভাইরাস পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করার ছাড়পত্র দিয়েছে পুনের ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি। এই তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্র হবে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।
অন্যদিকে,গত শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট নেই রাজ্যের হাতে। তবে এবার ট্রপিক্যাল মেডিসিন টেস্ট কিট তৈরী শুরু করলে রাজ্যকে আর অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবেনা বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যভবন।