বিরাট সাফল্য, ১ বছরে দারিদ্র্যসীমার ঊর্ধ্বে উঠলেন ১ কোটি মানুষ

বিরাট সাফল্য, ১ বছরে দারিদ্র্যসীমার ঊর্ধ্বে উঠলেন ১ কোটি মানুষ

imagesmissing

বেজিং: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গৃহবন্দী গোটা চিন৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার কাজ৷ কিন্তু করোনা ভাইরাস গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়লেও থামেনি দেশের অর্থনীতির বিকাশ৷ কারনার মধ্যেও উঠে এল ইতিবাচক সমীক্ষা রিপোর্ট৷

সমীক্ষা বলছে, চিনে কমেছে গরিবের সংখ্যা৷ ২০১৯ সালে অন্ততপক্ষে ১ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে উঠে এসেছেন৷ অঙ্কের হিসাবে যা  ১ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৬ হাজার চিনা নাগরিক দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷ বেজিংয়ে প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চিনে মোট ৭৪ কোটি নাগরিক ছিলেন দারিদ্র্যসীমার নিচে৷ সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠেছেন বহু নাগরিক৷ এখনও পর্যন্ত ২০১৯ সালে এক কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠে গিয়েছেন৷

২০১৭ সালে তিন বছরের মধ্যে দারিদ্র্য দূরীকরণে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে চিন৷ সেই অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা৷ এই পর্যায়ের চিনে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা শতকরা ৯৫ শতাংশ মানুষের কাছে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ আর তার সুবাদেই প্রায় ৯০% মানুষ উঠে এসেছেন দারিদ্র্যসীমার আওতার বাইরে৷ ২০১৮ সালে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়৷ গরিব মানুষের কাছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করে চিন সরকার৷ গরিবের বাড়িতে শিক্ষা, বিনামূল্যে চিকিৎসা, বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়৷

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, দুই দশকে চিনে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা প্রায় ৪৬ কোটি মানুষকে তুলে আনা সম্ভব হয়েছে৷ যার ফলে ১৯৮১ সালে চিনে দারিদ্র্যের হার ছিল যেখানে ৮৮% সেটা ২০১৫ সালে হয়েছে মাত্র ১%৷ এই জন্য দৈনিক ১.৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করা হয়েছে৷ আর তার জেরে ১ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থেকে উঠে এসেছেন মাত্র ১ বছরে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *