চিনের পর এবার ইরান! করোনায় আক্রান্ত মন্ত্রী-সাংসদ

চিনের পর এবার ইরান! করোনায় আক্রান্ত মন্ত্রী-সাংসদ

তেহরান: করোনায় এবার আক্রান্ত হলেন ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ও একজন সাংসদ।  করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টুইটে ইরানের উপস্বাস্থ্য মন্ত্রী ইরাজ হারিরচি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি নিজেকে সকলের থেকে বিচ্ছন্ন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

চিনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া নতুন এই ভাইরাসে ইরানে এখন পর্যন্ত ৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকার ঘোষণা করলেও সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি বলে অনেকে মনে করছেন।  বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনের বাইরে ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি এই তিনটি দেশে করোনাভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানের পার্লামেন্ট সদস্য মাহমুদ সেদেঘিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব, সেই আশা আর বেশি করছি না। এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে সঙ্গীত অনুষ্ঠান ও ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইরান। অনেক প্রদেশে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইরান থেকে যাওয়ার পর কানাডা, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরাকে কয়েকজনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ায় বেশ কয়েকটি দেশ তাদের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করেছে। কয়েকটি দেশ সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে। ওমানের খাসাব বন্দরে ইরান থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার তেহরান থেকে ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে ইস্তানবুলে যাওয়া একটি বিমান তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত থাকতে পারে সন্দেহে। ওই বিমানের সব আরোহীকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

ইরানের বিভিন্ন শহর থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে যে তথ্য তাদের কাছে আসছে, তা ইরানি কর্তৃপক্ষ যে তথ্য দিচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি। ইতালিতে যে সব জায়গায় নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়ছে সেগুলো আলাদা করে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু ইরানি কর্মকর্তারা তা করছেন না। কোয়ারেন্টিনকে সনাতনী রীতি হিসেবে বর্ণনা করে তারা বলছেন, তাতে তাদের বিশ্বাস নেই।
ইরানে এই ভাইরাস প্রথম যেখানে ধরা পড়েছে সেই কওম শহর ও মাশহাদে শিয়া ধর্মীয় স্থাপনাগুলো এখনও চালু রয়েছে। কওমের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি বছর লাখ লাখ পূণ্যার্থী যান। বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সেখানে লেখাপড়া করেন। এসব প্রতিষ্ঠান শিয়া বিশ্বের গর্ব বলে মনে করেন কওমের ধর্মীয় নেতারা। ইরানে বিজ্ঞান ও ধর্মে সংঘাত দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 16 =