ইচ্ছা হলে আপনি মোমবাতি জ্বালাবেন, আমার ইচ্ছা হলে আমি ঘুমাবো: মমতা

ইচ্ছা হলে আপনি মোমবাতি জ্বালাবেন, আমার ইচ্ছা হলে আমি ঘুমাবো: মমতা

2d089b81ac15234b96ae979461026799

নয়াদিল্লি: করোনা বিরোধী যুদ্ধে একযোগে সামিল দেশবাসী৷ এই বার্তা দিয়েই রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির আলো নিভিয়ে দরজায় বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ নমোর এই ‘ব্ল্যাকআউট’-এর বার্তায় সুর চড়িয়েছে একাধিক বিরোধী শিবির৷ তবে বিতর্ক এড়িয়ে সুকৌশলেই জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই বিষয়ে প্রশ্ন করা বলে তিনি বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত ব্যাপার৷  আপনাদের বলেছে আপনারা করুন না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কথায় কী করে নাক গলাবো?  উনি ওনার মতো বলবেন৷ আমি আমার মতো বলব৷ আপনার যদি মনে হয় উনি ভালো বলেছেন, তাহলে আপনরা ওনার কথা শুনবেন৷’

খানিক কড়া সুরেই তিনি বলেন, ‘‘আপনার যদি ইচ্ছা হয় আপনি প্রধানমন্ত্রী কথা শুনে প্রদীপ জ্বালাবেন। আর আমার ইচ্ছা হলে আমি ঘুমাবো।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলাই আমার প্রধান লক্ষ্য৷ আপনারা দয়া করে রাজনৈতিক যুদ্ধ লাগাবেন না৷ আমার এখন ওসব কথায় নাক গলাতে ইচ্ছা করছে না৷ ’’

জনতা কারফিউর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেক দেশবাসীকে বিকেল পাঁচটায় নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়েই হাততালি দিতে বলেছিলেন৷ অথচ ওই দিন দেশের মানুষ থালা, বাসন বাজাতে বাজাতে রাস্তায় নেমে পড়েন৷ যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়৷ এরপর ফের  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রবিবার রাত ৯ টায় আপনাদের কাছে ৯ মিনিট চাইছি। ৯ মিনিট বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালান।’’ যা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা৷

এর আগে বারবার মোদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে এদিন কোনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি৷ বরং মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের কোথাও কোথাও প্রচার করা হচ্ছে কেন্দ্রই নাকি সব করছে৷ কেন্দ্র একটা মাস্কও দেয়নি। রেশন দোকানে গিয়ে অনেকেই বলছে দিল্লি চাল দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছে তাতে তৃণমূলের সিম্বল লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি সাফ জানান,  যেখানে তৃণমূলের সিম্বল লাগানো হচ্ছে সেখানে দলগতভাবে কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের দেওয়া চালে সিম্বল লাগাচ্ছে না তৃণমূল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *