হাত বাড়ালেই বন্ধুত্ব! মাতৃত্বকালে ভরসা জোগাচ্ছেন বাঙালি দম্পতি

হাত বাড়ালেই বন্ধুত্ব! মাতৃত্বকালে ভরসা জোগাচ্ছেন বাঙালি দম্পতি

a4b89ea106e5c1f4bb1c36bdcf43f5e0

নয়াদিল্লি: কথায় বলে, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। সময় পাল্টেছে। ঘর ও বাইরে একই দক্ষতায় কাজ করছেন মহিলারা। তাই তাঁদের কথা ভেবেই প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছিল মামি কাডল। মাতৃত্বকালীন পরিস্থিতিতে সমস্যার সম্মুখীন মহিলাদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে সংস্থাটি। দু'বছর আগে তৈরি হওয়া এই সংস্থাটি আজ দেশের বাইরেও কাজ করছে। হোয়াটসঅ্যাপের পালে ভর করেই তাদের এই জয়যাত্রা।

মামি কাডলের প্রতিষ্ঠাতা রাহুল মৌর্য। একটি ফার্মাসিউটিকল সংস্থায় চাকরি করেন তিনি। ২০১৮ সালে কলকাতা থেকেই যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল এবং সোমা চক্রবর্তী। মাতৃত্বের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের মাধ্যমেই ওই সময়ে মহিলাদের স্ট্রেস দূর করতে চান তাঁরা। তাঁদের কথায়, 'গর্ভবতী মহিলারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মাতৃত্বকালে তাঁরা কী ধরনের জামাকাপড় পরবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। ভারতের অধিকাংশ সংস্থাই এদিকে নজর দেয় না। বাধ্য হয়ে ব্যববহুল মাতৃত্বকালীন পোশাক ও পণ্য কিনতে বাধ্য হন মহিলারা। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলি যাতে তাঁরা পান, সেই চেষ্টাই করছি আমরা।' তাই ইনোভেটিভ বেবি কেরিয়ার পোশাক যেমন পাওয়া যায়, তেমনই স্ট্রেচেবল লেগিংস, নার্সিং টপ, কুর্তিও সরবরাহ করে সংস্থাটি।

ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকেও সহজলভ্য মামি কাডলের পণ্যগুলি। এক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপই সবচেয়ে কার্যকরী বলে মনে করেছেন রাহুল মৌর্য। তাঁর কথায়, 'গুগল হল একটা মহাসমুদ্র, সেখানে যে কেউ তলিয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মাতৃত্বকালে মহিলাদের নানা প্রশ্ন এবং তাঁদের চাপমুক্ত রাখতে চেয়েছিলাম আমরা।' তিনি আরও বলেন, 'জোর করে নয়, প্রকৃত প্রয়োজনে আমরা আমাদের ক্রেতাদের পাশে এসে দাঁড়াতে চেয়েছি। এই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে দ্রুত ও উপযোগী প্ল্যাটফর্ম অন্য কিছু নেই।' তাছাড়া হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাজ করার সূত্রে ক্রেতা ও সংস্থার সঙ্গে একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হওয়ারও সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দু'বছর আগে কলকাতা থেকে শুরু হওয়া এই সংস্থাটি চলতি বছরে সদ্যোজাত শিশুদের জন্যও আনতে চলেছে পোশাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *