কাজ নেই, রেশন নেই! খাবার চেয়ে ধরনায় আদিবাসী মহিলারা

কাজ নেই, রেশন নেই! খাবার চেয়ে ধরনায় আদিবাসী মহিলারা

862958b172a8b5e25f4489dc4ad99ed2

চুঁচুড়া: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মাশুল সবচেয়ে বেশি গুনতে হচ্ছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোকে৷ লকডাউনের ধাক্কায় বন্ধ হয়েছে খেতের কাজ৷ সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে চাল, ডাল, গম দিচ্ছে ঠিক কথাই৷ কিন্তু যাঁদের রেশন কার্ডটুকুও নেই, তাঁদের দিন কাটছে অর্ধাহারে বা অনাহারে৷ হুগলীর জয়হরিপুর, কনুইবাঁকা এলাকায় এভাবেই দিন কটছে বেশকিছু মানুষের৷ অভিযোগ, সরকারের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি৷ ত্রাণ এসে পৌঁছয়নি তাঁদের হাতে৷ এর প্রতিবাদে ধরনায় বসল বেশ কয়েজন আদাবাসী মহিলা৷

1f54bf0f8a01ef7858c02f5e8d806912

অন্যদিকে, এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে ধনিয়াখালির বিডিও’র দফতরে ফের চিঠি পাঠায় সারা বাংলা আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ৷ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে বিডিও’র কাছে৷ অভিযোগ, গত ৩০ মার্চ আদিবাসী মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, জয়হরিপুর, কনুইবাঁকা এলাকার ৫৬ জন দুঃস্থ দিনমজুর না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন৷ তাঁদের পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য, আর্থিক সাহায্য ও ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছিল সরকারে কাছে৷

b16ed5c184199058b1f702db1a4370e7

কিন্তু সকলের কাছে সেই ত্রাণ এসে পৌঁছয়নি৷ এঁদের মধ্যে ২৬ জন কিছু ত্রাণ সামগ্রী পেলও, বাকিরা অসহায় অবস্থাতেই দিন কাটাচ্ছেন৷ সরকারি সাহায্য না পেয়ে মঙ্গলবার আদাবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের ছাতার নীচে ধরনায় বসেন সুমিত্রা মাহেলি, চাঁপা মুদি, বাবুলাল হাঁসদা, রূপালী কিস্কুর মতো অসহায় মানুষগুলো৷ মঞ্চের সদস্য সজল দে বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে বহু বার আবেদন জানানো হয়েছে৷ কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না৷ আমাদের এখন একটাই দাবি, কাজ চাই, ভাত চাই৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *