মমতাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন নোবেলজয়ী অভিজিৎ, দেখালেন করোনা জয়ের পথ

পথে নেমে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে তাঁকে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, আমি তো বাড়িতে বন্দি রয়েছি৷ অফিসের কাজও বাড়িতে বসেই করি৷ আপনি পথে নেমে কাজ করেন৷ তাই অনেক বেশি সাবধানে থাকতে হবে আপনাকে৷ 

87a8386128d9c5ec8ae76732ef3faf4a

কলকাতা:  পথে নেমে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে তাঁকে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, আমি তো বাড়িতে বন্দি রয়েছি৷ অফিসের কাজও বাড়িতে বসেই করি৷ আপনি পথে নেমে কাজ করেন৷ তাই অনেক বেশি সাবধানে থাকতে হবে আপনাকে৷

এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ করোনা পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, এখন আতঙ্কিত হলে চলবে না৷ এই সময় আমাদের সতর্ক হতে হবে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের বাজারগুলি খোলা রয়েছে৷ প্রচুর মানুষ প্রতিদিন এই বাজারে আসেন৷ সরকারকে দেখতে হবে, প্রত্যেকে যেন মাস্ক পরেন৷ বাজারে প্রবেশের সময় স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে হবে৷

স্যানিটাইজার না থাকলে, অন্তত সাবান-জলের ব্যবস্থা করতে হবে৷ বেরনোর পরও কিন্তু হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে৷ তাঁর বিশ্বাস, এই নিয়মগুলি মানতে পারলে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে৷ 

এদিন অভিজিৎবাবু আরও বলেন, ছোট ছোট জিনিস খেয়াল করলে অনেক দূর এগনো যাবে৷ কোরিয়া, তাইওয়ানের মতো দেশগুলি করোনার বিরুদ্ধে দারুণভাবে লড়াইয়ে করেছে৷ এই সকল দেশুগুলিতে কিন্তু দেখা গিয়েছে, সুপারমার্কেটে ঢোকার আগে সেখানকার মানুষ হাত স্যানিটাইজ করেছেন৷ এমনকী বেরনোর সময়ও স্যানিটাইজ করে বেরিয়েছেন৷ তাঁরা সব সময় মাস্ক পরেছেন৷ এগুলো খুবই সহজ কাজ৷ আমরাও করতে পারি৷ এর জন্য অনেক টাকাও লাগবে না৷ এক টুকরো কাপড় দিয়েও মাস্ক তৈরি করা যায়৷ স্যানিটাইজার না থাকলে সাবান জল দিয়ে হাত ধোওয়া যায়৷ করোনা থেকে বাঁচতে কোরিয়া, তাইওয়ানের দেখানো পথে আমরা হাঁটতেই পারি৷

তিনি আরও বলেন, যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ দূর থেকে জিনিসপত্র দেওয়া নেওয়ার চেষ্টা করুন৷ সম্ভব হলে সামনে কিছু ইট রেখে দেওয়া যেতে পারে৷ যাতে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজার রাখা যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বাজারে লক্ষণরেখা এঁকে দিয়েছিলেন৷ ঠিক তেমন ভাবেই এগোতে হবে৷ 

তাঁর দাওয়াই, যে জায়গাগুলিতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে বেশি করে টেস্টিং করতে হবে৷ বাংলায় সর্দি-কাশি আকছাড়৷ অনকের মনেই সন্দেহ হবে না৷ কিন্তু এর মধ্যেই হয়তো দু-তিনজনের করোনা ধরা পড়তে পারে৷ সেই দুই-তিনজনকেই চিহ্নিত করতে হবে৷ এতে সাধারণ মানুষেরও ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বাস্ত করেন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

তিনি আরও বলেন, এর জন্য রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে৷ দেখা গেলো কোনও জায়গায় পাঁচ-ছয় জনের খুব কাশি হচ্ছে৷ সেই খবরটা যেন ঠিক ভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পৌঁছে যায়৷ এক্ষেত্রে আশাকর্মীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে৷ সন্দেহ হলেই টেস্টিং করাতে হবে৷ জীবাণু ছড়ানোর আগেই পৌঁছে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট জায়গায়৷ 

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথার পরিপ্রেক্ষিতে জানান, আগামী কাল থেকেই রাজ্যে ব়্যাপিড টেস্টিং শুরু করা হবে৷ কিষাণ মান্ডি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করা হবে৷  (ফাইল ছবি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *