করোনা মোকাবিলায় মোদির কাছে আর্থিক প্যাকেজ দাবি মমতার

করোনা মোকাবিলায় মোদির কাছে আর্থিক প্যাকেজ দাবি মমতার

কলকাতা: করোনার থাবায় দেশের অর্থনীতি বেহাল, জিডিপি তলানিতে এসে ঠেকেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। সরকারি তহবিলেও অর্থ ঢুকছে না। এই অবস্থায় রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখতে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই পাশাপাশি অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই লকডাউন বাড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফত বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই বৈঠকেই আর্থিক প্যাকেজের দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতে ১৫ হাজার কোটি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশের নিরিখে ওই বরাদ্দ নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন একাধি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের বর্তমান আর্থিক অবস্থায় স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আয় কমে গিয়েছে, বহিঃবাণিজ্য বন্ধ লকডাউনের জেরে আমদানি-রপ্তানিও তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারি আয়ের পথগুলিও ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। আবার, পাশাপাশি রাজ্যের একটা বিশাল অংশের মানুষকে এই সময় গণবণ্টনের মাধ্যমে খবর নিখরচায় খাবার পাঠাতে হচ্ছে। গোডাউন থেকে পণ্য পরিবহণ করে রাজ্যের উপভোক্তাদের হেঁশেল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ হচ্ছে। এই পুরো খরচটাই বহন করতে হচ্ছে রাজ্যের কোষাগার থেকে। আবার করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে সেইভাবে কোনও আর্থিক সাহায্য রাজ্যে আসেনি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রাজ্যের তরফ থেকে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে চেয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও বার্তায় সেই একই দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় বলেছিলেন, “ভিন রাজ্যে আটকে থাকা এরাজ্যের শ্রমিকদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখুক সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি। রাজ্যের কয়েক লক্ষ কৃষক, কৃষি শ্রমিক ও গ্রামের মানুষ ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। টানা কয়েক বছর ধরে ১০০ দিনের কাজে অর্থ খরচের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে আসছে পশ্চিমবঙ্গ। এদিন মমতা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, এই লকডাউনের সময় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে ১০০ দিনের কাজ প্রায় বন্ধ। গরীব মানুষ বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। তাঁদের অনেকেই আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র যদি দু’মাসের ১০০ দিনের কাজের টাকা একবারে মিটিয়ে দেয় তবে কিছুটা উপকার হবে। তাই কেন্দ্র যেন সহানুভুতির সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করে। যদিও বাংলাকে আলাদাভাবে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের তরফে এখনও ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ করার কথা জানানো হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =