বাংলায় চিহ্নিত ৪টি হটস্পট ও ৭টি ক্লাস্টার জেলা: স্বাস্থ্যমন্ত্রক

বাংলায় চিহ্নিত ৪টি হটস্পট ও ৭টি ক্লাস্টার জেলা: স্বাস্থ্যমন্ত্রক

 

নয়াদিল্লি: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ বাড়ছে উদ্বেগ৷ লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা৷ এবার এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু এলাকা চিহ্নিত করল কেন্দ্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ বাংলায় হটস্পট হিসেবে ৪টি ও ক্লাস্টার হিসাবে ৭টি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর৷

জানা গিয়েছে, করোনা রুখতে ইতিমধ্যেই কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে দেশজুড়ে ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ করোনার আক্রান্তের সংখ্যা কম, তবে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, এমন ২০৭টি জেলাকে ক্লাস্টার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সেখানে বাংলার ৭ জেলা ক্লাস্টার হিসাবে চিহ্নিত করেছে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, নদীয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে ক্লাস্টার বা ননহটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷

হটস্পট এলাকার চিহ্নিত করার পর লকডাউন বিধি পূর্ণমাত্রায় কার্যকর করার জন্য সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ সংক্রমনের শৃংখল ভাঙার জন্য হৎস্পট এলাকায় করাকরির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ প্রয়োজনে ওই জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা পরীক্ষার করারও সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ রাজ্যগুলিকে এই মর্মে বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ চিহ্নিত এলাকাগুলিতে করানো রুখতে ১০০ শতাংশ লকডাউন কার্যকর করাও বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের জন্য প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে৷ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সত্যতা স্বীকার করা হয়নি৷

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সমস্ত কিছু পর্যালোচনা করার পর রাজ্য থেকে যে তথ্য পেয়েছি, সেটা তিনটি ভাগে ভাগ করেছি৷ প্রথম হটস্পট, যেটা লাল তালিকাভুক্ত৷ দ্বিতীয় নন হটস্পট এলাকা৷ এখানে কম করোনা সংক্রমণ হয়েছে৷ আর কিছু এলাকায় থেকে একটিও করো না সংক্রমনের ঘটনা ঘটেনি৷ আজ আমরা প্রত্যেকটি রাজ্যকে জানিয়েছি, যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমনের ঘটনা ঘটেছে, যে জেলা থেকে বেশি সংক্রমণ এসেছে, সেই অনুযায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সেখানে লকডাউন বিধি কঠোর ভাবে কার্যকর করা উচিত৷ আমরা ইতিমধ্যেই ১৭০টি হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করেছি৷ যেখানে নন হটস্পট এলাকা রয়েছে৷ আমরা চাই, যে সমস্ত এলাকায় ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার হোক৷ আর সেখানে করোনা সংক্রমণ কম, তবে হটস্পট নয়, এখন ২০৭টি জেলাকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ যাতে সংক্রণ রোখা যায়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + four =