কলকাতা: করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করা চিকিত্সক স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে করোনা আক্রান্তদের শুশ্রুষা করা স্বত্তেও রাজ্যের বেশ কিছু য়ায়গায় একাংশের মানুষের হাতে যেভাবে তাদের আক্রান্ত ও হেনস্থা হতে হচ্ছে তাতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই ধরণের ঘটনা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারী দেওয়ার পাশাপাশি চিকিত্সক-স্বাস্থ্য কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমণ করতে বুধবার বেশ কিছু ঘোষণা করেছেন মমতা।
মঙ্গলবার আসানসোলের চুরুলিয়ায় যুব আবাসে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়া নিয়ে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাধে। এই ঘটনায় জনতার মারে পা ভাঙে এক পুলিশ আধিকারিকের।। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার উল্লেখ করে কড়া হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তিনি বলেন, সরকার চাইলে যে কোনও জায়গায় কোয়ারেন্টাইন, করোনা হাসপাতাল করতে পারে। এক সেকেন্ড লাগবে না অধিগ্রহণ করতে।একইসঙ্গে তিনি রানাঘাটের বাসিন্দা এক নার্সকে সামাজিক বয়কট করার প্রসঙ্গ তুলেও দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘ডাক্তার-নার্সরা মানুষের সেবায় এখন ব্রতী। আর তাঁদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার ভাবা যায় না। কেন সবাই এমন করছে? যাঁরা এমন করছে তাঁদের পরিবারের কেউ যদি আক্রান্ত হয় বাকিরা তাঁদের বয়কট করে তখন কেমন লাগবে?’ মমতা ঘোষণা করেছেন ওই নার্সের জন্য সরকারি আবাসনে থাকার বন্দোবস্ত করবে সরকার।
তিনি পুলিশ আধিকারিকদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। তবে সবচেয়ে বেশি তিনি উদ্বিগ্ন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন গড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। তিনি নাম না করে রাজনৈতিক দলগুলিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তোলার জন্য।করোনা প্রতিরোধে কাজ করে চলা চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতি মানবিক আচরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আজ পুনরায় রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানান। তাদের ওপর থেকে চাপ কিছুটা কমাতে এখন থেকে এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে তাদের কাজ করানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে পুলিশকর্মীদের ও কাজের সময় কমানোর কথা বলা হয়েছে।