কলকাতা: চলছে লকডাউন৷ কিন্তু, সেই লকডাউন বিধি ভেঙেও বাজারমুখী হয়েছে বাঙালি৷ লকডাউনের বাজেও মাছ-মাংসর দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ কিন্তু, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় জোগানে টান পড়েছে৷ মাছের আকাল পড়েছে বাজারে৷ রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে দাম৷ কিন্তু, মাছে-ভাতে সেই বাঙালিকে তুষ্ট রাখতে মাছ ও ঘি’র জোগান বাড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন রেল৷
জানা গিয়েছে, মাছ ও ঘির জোগান বাড়েতে গত কয়েকদিনে বাংলায় এসেছে ৬ হাজার কেজিরও বেশি ঘি৷ ভাগলপুর থেকে মালগাড়ি মাধ্যমে এই ঘি আনা হয়েছে৷ পণ্য পরিবহণে গত কয়েকদিন ধরে বিশেষ পার্সেল এক্সপ্রেস চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় রেল৷ ওই এক্সপ্রেস ট্রেনে একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ করা হচ্ছে৷ দুধ থেকে শুরু করে ঘিয়ের মতো নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধপত্রও পরিবহণ করা হচ্ছে৷ আর এই পরিবহণের মধ্যে রয়েছে মাছও৷ পার্সেল এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় মাছ আসছে বলে খবর৷
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ এপ্রিল থেকে বাংলায় ৭টি রুটে পার্সেল এক্সপ্রেসে চলাচল করছে৷ গত কয়েকদিনে পার্সেল এক্সপ্রেসের মাধ্যমে বাংলায় এসেছে ৩ হাজার ২৪৩ কেজি ঘি৷ ২০ টন মাছ৷ লকডাউনের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই শিয়ালদহ থেকে গুয়াহাটি, হাওড়া থেকে গুয়াহাটি, শিয়ালদহ থেকে মালদহ টাউন, হাওড়া থেকে জামালপুর, হাওড়া থেকে নয়াদিল্লি, শিয়ালদহ থেকে নয়াদিল্লি, হাওড়া থেকে মুম্বই রুটে পার্সেল এক্সপ্রেস চলাচল করছে৷ ওই পার্সেল এক্সপ্রেসে মাধ্যমে রাজ্যে ঘি ছাড়াও আসছে পনির, সব্জি, ওষুধ সহ অন্যান্য সামগ্রী৷