কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। চিহ্নিত করা হয়েছে দেশের করোনা হটস্পট অঞ্চল। জারি করা হয়েছে একাধিক নতুন নির্দেশিকা। সেক্ষেত্রে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য সমস্ত পরিষেবাও বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সাধারণ মানুষ অকারণে বাড়ির বাইরে বোরোলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নির্দেশিকা কঠোরভাবে কার্যকর করতে চলছে কড়া নজরদারি। বাইক বা চারচাকা গাড়ি নিয়ে বাইরে বেরোলে লকডাউন আইন অনুযায়ী জরিমানা, আবার বিশেষ পরিস্থিতিতে গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
কিন্তু এই অবস্থায় জরুরী প্রয়োজনে বা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের বাধ্যতামূলকভাবে বাইরে বেরোতে হলে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি বায়জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলিকেও আটক করা হচ্ছে অনেক সময়। তবে এই সমস্যার সমাধানে একটি বিশেষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাইরে বেরোলে পূলিশ ছাড় দেবে। এরজন্য সঙ্গে রাখতে হবে সরকারিভাবে 'কোভিড-১৯ এমার্জেন্সি পাস' বা 'লকডাউন পাস’।
এই পাস কিভাবে পাওয়া যাবে এসম্পর্কে অনেকেরই জানা থাকলেও, তবে এমন অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে ই-পাস তৈরীর বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না বলে পাস তৈরী করতে পারেননি এবং অহেতুক পুলিশি হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। এদিকে লকডাউনের জন্য বাইরে বেরিয়ে পাস জোগাড় করাও সম্ভব নয়। তাদের সুবিধার্থে অনলাইনে বা হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে কিভাবে এই ই-পাস পাওয়া যাবে তার পদ্ধতিগুলি একনজরে-
১) https://coronapass.kolkatapolice.org/-এই লিঙ্কে গেলে লকডাউন ই-পাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুলে যাবে। সেখানে দেশের সমস্ত রাজ্যের অপশন আছে। এরাজ্যের বাসিন্দারা পশ্চিমবঙ্গের জন্য ক্লিক করবেন।
২. এই ওয়েবসাইটের শর্তাবলী পড়ে নিয়ে I Agree বা লেখা চেকবক্সে টিক দিলেই ওয়েবসাইট খুলে যাবে।
৩) ওয়েবসাইটে একটি ফর্ম দেওয়া থাকবে। বিভিন্ন রাজ্যের জন্য কিছু আলাদা প্রশ্ন বা অপশন থাকছে ফর্মে। তবে প্রথমেই জানতে চাওয়া হবে ব্যক্তিগত পাস (Individual) না প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক পাস (Organization)।
৪) এবার ফর্মে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি, বাইরে বেরোনোর কারণ, কোন এলাকায় যাবেন, গাড়ি নিয়ে যাবেন কিনা, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেখানকার তথ্যও দিতে হতে পারে। এই বিস্তারিত তথ্য ফর্মে আপলোড করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করে আবেদন জানাতে হবে।
৫) আবেদনপত্র সাবমিট ক্লিক করার পর ফর্মে দেওয়া আপনার তথ্যগুলি খতিয়ে দেখবে স্থানীয় পুলিশ। তথ্য সংক্রান্ত কোনো সমস্যা না থাকলে একটি পাস ইস্যু করা হবে।
৬) করোনা ই-পাস পেতে কিছুটা সময় লাগবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর একটি আইডি নম্বর দেওয়া হয়। ই-পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওই আইডি নম্বর টাইপ করলেই দেখে নিতে পারবেন আপনার ই-পাসের স্টেটাস।
৭) আবেদনপত্রের স্ট্যাটাস অর্থাৎ পাস তৈরি হয়েছে কিনা বা কোন সমস্যা আছে কিনা দেখে নিতে (https://coronapass.kolkatapolice.org/) -এই একই লিঙ্কে যেতে হবে। পাস তৈরি থাকলে এই ওয়েবসাই থেকেই ডাউনলোড করে নিতে হবে।
৮) ই-পাস ইস্যু হয়ে গেলে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ পাঠানো হবে। এবার ওয়েবসাই থেকেই সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে নিতে হবে। রাস্তায় বেরলে এই ই-পাসটি অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা হলে জেলা বা শহরের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে এবিষয়ে বিশদে জেনে নেওয়া যাবে।