৫ বছরের বঞ্চনা! আন্দোলনের পর রেশন জুটল গ্রামবাসীদের

৫ বছরের বঞ্চনা! আন্দোলনের পর রেশন জুটল গ্রামবাসীদের

চুঁচুড়া: গত ৫ বছর ধরে রেশন পাননি হুগলীর জয়হরিপুর গ্রামের বাসিন্দারা। কখনও আধপেটা, কখনও আবার কিছু না খেয়েই কেটেছে এতটা সময়। এর মধ্যে লকডাউন জারি হওয়ায় আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল জয়হরিপুরের পরিস্থিতি। অগত্যা গ্রামবাসীরা অবস্থান বিক্ষোভের পথ নেন। পাশে ছিল আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের সদস্যরাও। অবশেষে ৫ বছর পর রেশন পেয়েছেন গ্রামের চাঁপা মুদিরা। তবে প্রশ্ন উঠেছে, নিজেদের প্রাপ্য অধিকার থেকে কেন এতদিন বঞ্চিত ছিলেন তাঁরা?

অর্ধাহার, অনাহারে দিন কাটাতে হয়েছে। তবুও মেলেনি রেশন। অবশেষে আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ, থালা বাজানো আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসীরা। আর তার জেরেই জয়হরিপুর গ্রামের মোট ৪৯ জন  রেশন পেয়েছেন। সংগঠনের সদস্য সজল দে জানিয়েছেন, 'হুগলী জেলার অন্তর্গত জয়হরিপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের রেশন কার্ডই ছিল না। বাকিদের কাছে আরকেএসওয়াই ২ রেশন কার্ড ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা রেশন পাচ্ছিলেন না।'

স্থানীয় বাসিন্দা চাঁপা মুদির অন্ত্যোদয় ক্যাটাগরির রেশন কার্ড। তিনি পেয়েছেন ১৫ কিলোগ্রাম চাল, ২০ কিলোগ্রাম আটা ও ৩ কিলোগ্রাম চিনি। মাত্র এক মাসে এত রেশন পেয়ে খুশি চাঁপা মুদি। তাঁর মতোই খুশি গ্রামের অন্যান্যরাও। আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের সদস্য সজল দে প্রশ্ন তুলেছেন, 'এক মাসে যদি এতটা রেশন পান তিনি, তাহলে পাঁচ বছর ধরে মোট রেশনের পরিমাণ কত হবে?'

খাদ্যের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই হুগলীর জয়হরিপুরে চলছিল আন্দোলন। সূত্রের দাবি, স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র সেই আন্দোলন সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, সরকারের বদনাম করার জন্য গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন। এমনকী, তিনি যে গ্রামবাসীদের চাল, গম, তেল, সাবান পর্যাপ্ত পরিমাণে দিয়েছেন, তাও দাবি করেছেন অসীমা পাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − two =