পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার দাবি শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ ও এসইউসি’র

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার দাবি শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ ও এসইউসি’র

কলকাতা: আচমকাই জারি হয়েছিল লকডাউন। পরে সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে পারেননি। বাংলার বহু পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তাঁদের অসহায়তার কথা ভেবে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাল পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে এসইউসিআই(সি)।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মার্চ মাসে আচমকাই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২১ দিন কাটলে আরও বাড়ানো হয় লকডাউন। ফলে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘোর সঙ্কটে পড়েছেন। ফিরতে পারছেন না নিজেদের ঘরে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। তারা জানিয়েছে, 'সরকারিভাবে বাসের বন্দোবস্ত করে ওই সমস্ত শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার, যাঁরা কেবলমাত্র পরিবার প্রতিপালনের জন্য বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁদের ফিরিয়ে এনে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল চেকআপ করে তারপর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।' সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আবেদনপত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি মানবিকতার নিরিখে বিচার করার কথাও বলা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, তারা উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাট সরকারের সক্রিয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

অন্যদিকে একই দাবি শোনা গেছে এসইউসিআই(সি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্যের বক্তব্যেও। ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তাঁদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কেন্দ্রকে নিতে হবে। যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে রাজ্য সরকারকেও। তাঁদের ফিরিয়ে আনার পর প্রয়োজনমতো কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি ফিরিয়ে আনা একান্ত সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে যে রাজ্যে তাঁরা রয়েছেন, সেখানে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন, প্রয়োজনে সেই সমস্ত শ্রমিকদের পরিবারগুলি চিহ্নিত করে, তাদের পর্যাপ্ত সাহায্য করার পূর্ণ দায়িত্বও তৎপরতার সাথে রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *