কলকাতা: একদিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বাবা-মা৷ অন্য দিকে, ২১ দিনের শিশুকে সামলাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মীরা৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পেডিয়াট্রিক বিভাগের ২১ দিনের একটি শিশু রয়েছে হাসপাতালের কর্মীদের ভরসায়৷ চাইলেও শিশুটিকে কোলে নিয়ে আদর করতে পারছেন না বাবা-মা৷ মারণ রোগের বিরুদ্ধে বাবা-মা লড়াই করছেন৷ শিশুটির কাছে গেলে সংক্রমণের ভয় থাকছে৷ এ এক করুণ দৃশ্য৷
জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে শিশুটির সময় তাঁর বাবা-মা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। অন্যদিকে, শিশুটির জন্মের পরেই পায়ুদ্বারে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজের গ্রিন বিল্ডিংয়ের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হয়। এরপর তাঁর বাবা একদিন তাকে হাসপাতালে আসেন। তারপর পরই তিনি আচমকা করোনায় আক্রান্ত হন। এদিকে স্বামীর সংস্পর্শে আসার কারণে তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি মা এবং শিশুকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করেন। দু’ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুধবার মায়ের শরীরেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানতে পারেন শিশু শল্য বিভাগের চিকিৎসকেরা। এর পরেই তাঁকে মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। শিশুটিকে রাখা হয়েছে পেডিয়াট্রিক নার্সারি বিভাগে। এদিকে শিশুটির বাবাকে এমআরবাঙুরে আর মাকে এসএসবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শেষ খবর পর্যন্ত, দুজনের অবস্থাই বেশ সঙ্কটজনক। ফলে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে কার্যত চিন্তিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও তাঁর যত্নআত্তির কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর।