কলকাতা: পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট না থাকার কারণ দেখিয়ে স্পর্শকাতর এলাকায় এখনই র্যাপিড টেস্ট শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিধ্যেই কলকাতা , হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগণাকে বিশেষ স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। হু এবং আইসিএমআরের গাইডলাইন অনুয়ায়ী এধরণের এলাকায় লাগাতার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যের হাতে পর্য়াপ্ত কিট না থাকায় তা করা যাবে না বলে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কিট হাতে পেলেই র্যাপিড টেস্ট শুরু হবে৷ যদিও রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে৷ একথা মানতে চাননি মুখ্যসচিব৷
পরিসংখ্যান পেশ করে তাঁর দাবি, শনিবার পর্যন্ত ৪,৬৩০ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনিবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যে এখন দিনে ৪০০ এর বেশি টেস্ট হচ্ছে। পাশাপাশি মালদা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরি চালু হয়ে যাচ্ছে। ফলে আরও বেশি টেস্টের আশা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু নাইসেডের দেওয়া পরীসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিটের কোনও অভাব নেই! রাজ্যে অন্তত ২৭,৫০০টি কিট মজুত রয়েছে৷ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ দেশেও কেরল, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ বা ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্য প্রথম থেকেই বেশি পরীক্ষার দিকে এগিয়েছে৷ এখনও জাতীয় গড়ের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে আছে পশ্চিম বঙ্গ৷ যদিও মুখ্য সচিবের দাবি, রাজ্য করোনা মোকাবিলায় সবরকম ভাবে প্রস্তুত৷
তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে করোনার চিকিৎসার জন্য রাজ্যের ৬৬টি হাসপাতালে ৭ হাজার ৯৬৯টি বেডের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। করোনা রেড জোন হাওড়া জেলায় ৫৮০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। পাশাপাশি মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও ৪০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে শহরের বড় ল্যাবগুলিতে প্রতিদিন ১০০টি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩ হাজার ৮৫৮ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৫ হাজার ২০৯ জন। রাজ্যে পিপিই বিতরণ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজারটি। সতর্কতা বজায় রেখে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলি খোলা রাখলে সেখানে আরও বেশি সংখ্যক স্ক্রিনিং সম্ভব হবে বলে মুখ্য সচিব সব রকম সুক্ষার ব্যবস্থা রেখে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক খোলার আহ্বান জানিয়েছেন।