কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার রাজ্যে শুরু হচ্ছে করোনা ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট৷ নির্দেশিকা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের৷ নয়া বিধি কার্যকর হলে দ্রুত বেশি সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা করা যাবে৷ তবে, আতঙ্ক ছড়ানো রুখতে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জানানো হবে না রোগীকে৷ একই সঙ্গে ২৩ জেলার সমস্ত হাসপাতলাকে ১৪ মেডিক্যাল কেলেজের আওতায় এনে ওই পরীক্ষা করানো হবে৷ বিশেষ বিশেষ এলাকায় ওই পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হবে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কেলেজে৷
আজ রবিবার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে এখন থেকে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে করোনা ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করা হবে৷ যদিও এই নিয়ে বহুবার দাবি তুলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ করোনা পরীক্ষার জন্য করোনা ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে৷ তবে তা হবে করোনা চিহ্নিত এলাকায়৷ হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত এলাকা কিংবা ক্লাস্টার অঞ্চলেও এই পরীক্ষা করানো হতে পারে৷ এছাড়াও করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলির জন্য এই পরীক্ষা বিধি কার্যকর করা হতে পারে৷
করোনা পরিস্থিতির জেরে পৃথক পৃথক জেলায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে৷ জেলা ভিত্তিক করোনা ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট রিপোর্ট নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজে পাঠাতে হবে৷ তারপর সেখান থেকে মিলবে ফলাফল৷ সেই সমস্ত রিপোর্ট রোগীদের জানানো হবে না৷ যাতে আতঙ্ক যাতে না ছড়ায়, তার জন্য রিপোর্টের ফলাফল জানানো হবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ তবে নয়া এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজের অনুমতি নিতে হবে৷
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই কিংবা যে সমস্ত এলাকা থেকে কোনও ব্যক্তির দেহে করোনা উপসর্গ মেলেনি, সেই সমস্ত এলাকায় করা হবে ‘পুল টেস্ট’৷ কীভাবে হবে এই পুল টেস্টিং? জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হবে৷ পিসিআর পদ্ধতিতে ওই ৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে৷ ওই রিপোর্ট যদি নেগেটিভ হয়, তাহলে ধরে দেওয়া হবে, ৫ জন করোনা মুক্ত৷ আর রিপোর্ট পজেটিভ হলে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জনের নমুনা পৃথক পৃথকভাবে পরীক্ষা করা হবে৷ তারপর মিলবে চূড়ান্ত রিপোর্ট৷