কাবুল: আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের অবসান করতে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তিনি প্রায় দেড় হাজার তালিবান জঙ্গিকে মুক্তি দিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে। আফগান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য পরস্পরের ওপর বিশ্বাস রাখা একান্ত প্রয়োজন। সেই কারনেই তালিবান জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে বোঝাতে চাওয়া হয়েছে, আফগান প্রশাসন চুক্তি মেনে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
জানা গিয়েছে, আফগান জেল থেকে যে সব জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাদের লিখিতভাবে জানাতে হবে, মুক্তি পাওয়ার পর তারা আর কোনওভাবেই লড়াইয়ের ময়দানে নামবেন না। জানা গিয়েছে প্রতিদিন ১০০ জন তালিবান জঙ্গিকে মুক্তি দিলে ১৫ দিনে দেড় হাজার তালিবান জঙ্গিকে মুক্তি দিতে হবে। বদলে তালিবান এক হাজার আফগান সেনাকে মুক্তি দেবে। এই বন্দি মুক্তির পাশাপাশি ঘানি প্রশাসন ও তালিবান শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে এত সহজ হবে না এই বন্দি মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বলেই আন্টতর্জাতিক মহল মনে করছে। তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দিদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আফগান সরকারকে সেই অনুযায়ী বন্দি মুক্তি দিতে হবে। তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, আফগান সরকার বেছে বেছে প্রবীণ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তালিবান জঙ্গিদের মুক্তি দিতে চাইছে। তবে তালিবানের তালিকা অনুযায়ী বন্দিদের সমুক্তি না দেওয়া হলে আফগানিস্তান আবার জ্বলবে বলে তালিবানের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের দোহায় তালিবানের সঙ্গে আমেরিকা একটা শান্তি চুক্তি করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকাকে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরাতে হবে। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে আমেরিকায়।
তালিবানের পাশাপাশি আফগানিস্তান জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন আশরফ ঘানি। পাশাপাশি অন্য একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ। তবে আন্তর্জতিক মহল আফগান রাষ্ট্রপতি হিসেবে আশরফ ঘানিকে স্বীকৃতি দিতে চলেছেন।