৫ বছর ধরে মিলছে না রেশন, বিডিও-র কাছে আর্জি আদিবাসী অধিকার মঞ্চের

৫ বছর ধরে মিলছে না রেশন, বিডিও-র কাছে আর্জি আদিবাসী অধিকার মঞ্চের

হুগলী: ৫ বছর ধরে পাচ্ছেন না রেশন। দীর্ঘ সময় আধপেটা, কখনও বা না খেয়ে কাটাচ্ছেন হুগলী জেলার পোলবা দাদপুর ব্লকের বরুনান পাড়ার বাসিন্দারা। তার ওপর লকডাউনের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। অবস্থান বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। সারা বাংলা আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ তাঁদের তরফে স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের (বিডিও) কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছে।

কারও কাছে রেশন কার্ডই নেই। কারও যাও বা রয়েছে, তাতে নামের বানান ভুল। তাই পাচ্ছেন না রেশন। হুগলী জেলার পোলবা দাদপুরের সেঁইয়া (৬৫ জন), পাউনান (৮৫ জন), আমনান (৭৪ জন), রামনগর (১২৯ জন), বীরেন্দ্রনগর (২১ জন) ও কাশ্বাড়া (৩১ জন) গ্রাম থেকে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গত ৫ বছর ধরে রেশন পাচ্ছেন না। তাই সারা বানলা আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের তরফে গত শুক্রবার পোবলা দাদপুর বিডিও-র কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেখানে প্রতিটি গ্রামের কতজন মানুষ রেশন পাচ্ছেন না, তার হিসেব দেওয়া হয়েছে। বিডিও-র তরফে সেই আবেদনটি গৃহীতও হয়েছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে সজল দে বলেন, 'পোলবা-দাদপুর ব্লকের বরুনান পাড়া বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন ৪ জন অভুক্ত মানুষ। তাঁদের মধ্যে কারও রেশন কার্ড নেই, কারও কারও কাছে রয়েছে পুরনো রেশন কার্ড। পুরনো কার্ডে রেশন পাওয়া যায় না। সেই কার্ড বারবার ফুড ইনস্পেক্টরের কাছে জমা দিতে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারও কার্ডে কেবলমাত্র নামের বানান ভুল থাকার জন্য গত ৫ বছর ধরে তাঁদের রেশন দেওয়া হচ্ছে না। এমন বহু মানুষ আছে, যাঁদের নাম এনএফএসএ তালিকায় রয়েছে, তবুও তাঁরা পাচ্ছেন না রেশন। তাঁদের এই সমস্যার কথা একাধিকবার ব্লক উন্নয়ন আধিকারক (বিডিও) সহ ফুড ইনস্পেক্টরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের তরফে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়নি।' এবার লিখিত আবেদনে আদৌ কোনও সুরাহা মেলে কি না, তার অপেক্ষায় অসহায় গ্রামবাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =