হাবড়া: করোনা মোকাবিলায় সমবেত লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ত্রাণ তহবিলও গড়া হয়েছে। এবার সেই ত্রাণ তহবিলে অনুদান করলেন বন্ধন ব্যাঙ্ক হাবড়া ডিভিশনের কর্মীরা। শুধু তা-ই নয়, স্থানীয় গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ার জন্যও তাঁরা নিয়েছেন উদ্যোগ। ফোন করে কর্মীরা খোঁজ নিচ্ছেন গ্রাহকদের পরিবারের প্রবীন সদস্যদেরও।
ব্যাঙ্কিংয়ের পরিষেবার ক্ষেত্রে বন্ধন ব্যাঙ্কের সাফল্য বহুবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে তারা। করোনা পরিস্থিতিতে আমজনতার পাশে থাকার নয়া অঙ্গীকারের পরিচয় দিল বন্ধন ব্যাঙ্কের হাবড়া ডিভিশনের কর্মীরা। প্রায় ৫০০ জন মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১,৫৬,৬৫০ টাকা দিল তাঁরা। এছাড়াও গ্রাহকদের টাকা জমা, কিস্তি দেওয়া কিংবা টাকা তোলার ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিষেবা দিচ্ছে হাবড়া ডিভিশন। গ্রাহকদের ফোন করে এই পরিস্থিতিতে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মীরা। ৩০ মিনিট অন্তর স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ থেকে শুরু করে লকডাউন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও তাঁদের ওয়াকিবহাল করছেন কর্মীরা। অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্যও সক্রিয় রয়েছেন তাঁরা। লকডাউন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের স্বার্থই যে তাঁদের কাছে সবার আগে, সেই বার্তাও শোনা গেছে কর্মীদের কথায়।
লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্কের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণ সংক্রান্ত পরিষেবা। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন আমজনতা। ব্যক্তিগতভাবে বেশকিছু গ্রাহক ঋণ পরিষেবা চালু করার আর্জিও জানিয়েছেন। বন্ধন ব্যাঙ্কের হাবড়া ডিভিশনাল ম্যানেজার বিষ্ণু দাস বলেন, 'এই লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে ঋণ পাওয়া যায়, সেই আবেদন বারবার জানিয়েছেন আমাদের গ্রাহকরা। তাঁদের জন্য ঋণ পরিষেবা চালু করছি আমরা, যাতে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে তাঁরা উপকৃত হন। এছাড়াও রেড জোনের ব্যাঙ্ক শাখাগুলি খোলা রয়েছে। গ্রাহকরা সেখানে টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে তুলতেও পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করছি আমরা। আমাদের কর্মীরা গ্রাহকদের ফোন করে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে চলারও পরামর্শ দিচ্ছেন।' সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মেনে বরাবরের মতোই আমজনতার পাশে রয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক।