কাজে যোগ না দিলে কাটা হবে বেতন, চিকিৎসকদের শোকজ পুরনিগমের

কাজে যোগ না দিলে কাটা হবে বেতন, চিকিৎসকদের শোকজ পুরনিগমের

imagesmissing

কলকাতা: লকডাউনের অজুহাতে পরিষেবা বন্ধ রাখা পুর-চিকিৎসকদের কড়া বার্তা দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম৷ করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় এবার নজিরবিহীন ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নিগমের তরফে৷

পুর নিগমের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর কমিশনার খলিল আহমেদ জানিয়ে দিয়েছেন, যে সমস্ত পুর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যআধিকারিকরা গরহাজির রয়েছেন তাঁদের বেতন কাটা হবে। এমনকি তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হতে পারে। করোনার চিকিৎসা অস্বীকার করলে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করারও সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷ মেয়র ও পুর কমিশনার সেই সুপারিশে সম্মতি দিয়েছেন। এদিকে এই নির্দেশিকা জারি করার পরেই তড়িঘড়ি স্থায়ী, অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৬০ জন 'এ' ক্যাটাগরির মেডিকেল অফিসারকে শোকজ করা হয়েছে৷

ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েও লকডাউন চলাকালীন এরা অনেকদিন ধরে কাজে যোগ দিচ্ছেন না। এই সময় অফিসারদের ডিউটিতে আসার সুবিধার্থে পুর নিগমর পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা করা হলেও, তারা অনেকদিন ধরে অনুপস্থিত। এরা কাজে যোগ না দেওয়ায় পুর নিগম শহরবাসীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে প্রবল অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। শোকজ নোটিস পাওয়ার পরও এই অফিসাররা কাজে যোগ না দিলে, এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এদিকে, লকডাউন উঠে গেলেও শহরের জনসমাগম হওয়া স্থানগুলিতে কোনরকম সংক্রমণ এড়াতে কলকাতা পুর নিগম প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মিস্ট ব্লোয়ার স্যানিটাইজার মেশিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুর নিগমর জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, পুর নিগমর কাছে এখনো পর্যন্ত ১২০ টি এমন মেশিন আছে, যেগুলি বর্তমানে ছোট গলি, উপগলি, বাজার, হাসপাতাল ও আবাসনের ভেতরে ব্যবহার করা হচ্ছে।আরো এরকম মেশিন কেনা হবে। শহরের বড় রাস্তাগুলিতে রাস্তা পরিষ্কার করার গাড়িগুলির মাধ্যমে সোডিয়াম  হাউপোক্লোরাইড ও জলের মিশ্রণ স্প্রে করে জীবাণুমুক্তকরনের কাজ চলছে বলে তিনি জানান। রাস্তা জীবাণুমুক্তকরনের জন্য এরকম ২০ টি গাড়ি বর্তমানে নিয়মিত কাজ করছে, আরো ১০ টি নতুন গাড়ি কাজ করা শুরু করবে বলে দেবব্রত বাবু জানান। জীবাণুমুক্ত করণের কাজ অব্যাহত রাখতে ঝাড়খন্ড থেকে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড আনার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *